২৪ ঘণ্টায় ৯৮০ জন নতুন করে কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন। ফাইল চিত্র।
ঊর্ধ্বমুখী কোভিড সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যকে ফের সতর্ক করল কেন্দ্র। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সাপ্তাহিক সংক্রমণ হার এবং কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দুর্গাপুজোর পরে কলকাতাতেও যে ভাবে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে, তা নিয়ে এর আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণও রাজ্যকে সতর্ক করেছিলেন। সূত্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অসমকেও একই চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, সর্বশেষ চিঠিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব আরতি আহুজা রাজ্যকে জানিয়েছেন, কলকাতা এবং হাওড়ার পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ফলে সেই জেলাগুলির দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) দাবি করেছিল, দশমীর পরের সপ্তাহে শুধু কলকাতাতেই সংক্রমণের হার ২৫% বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই দৈনিক আক্রান্তের হার হাজার ছুঁইছুঁই। শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ৯৮০ জন নতুন করে কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। সংক্রমণের নিরিখে কলকাতা (২৭২ জন) সবার প্রথমে রয়েছে। তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (১৪৮ জন)। হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ছবিটাও স্বস্তিদায়ক নয়।
বস্তুত, উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ারআগেই প্রতিটি রাজ্যকেই সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক করেছিল কেন্দ্র। মানুষ উৎসবে আত্মহারা হয়ে উঠলে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার যে ঠেকানো যাবে না, তা জানিয়ে জমায়েত রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পরামর্শও দিয়েছিল তারা। কিন্তু এ রাজ্যে পুজোর সময় (১০-২০ অক্টোবর) নৈশ নিয়ন্ত্রণবিধিও শিথিল করে সরকার। পুজোর দিনগুলিতে কার্যত কোভিড বিধি শিকেয় তুলে পথেঘাটে মানুষের ঢল নেমেছিল। তা দেখেই চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, এই আনন্দের খেসারত দিতে হবে আমজনতাকেই। কোভিড বুলেটিনের তথ্য সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করছে বলে চিকিৎসকদের অভিমত।
এই অবস্থায় কালীপুজো-দিওয়ালি এবং ছটের সময়েও নৈশ নিয়ন্ত্রণবিধি শিথিল করার কথা জানিয়েছে রাজ্য। যা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। সেই দিক থেকে কেন্দ্রের এই বার্তা প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছেন প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে।