NEP

শিক্ষানীতি রূপায়ণ নিয়ে শিক্ষকদের পরামর্শ চায় কেন্দ্র

কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, অগস্টের ২৪ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে এই পরামর্শ তাদের কাছে পাঠাতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২০ ০৪:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

শিক্ষা যৌথ তালিকাভুক্ত বিষয় হওয়া সত্ত্বেও নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে তাদের কোনও মতামতই নেওয়া হয়নি বলে পশ্চিমবঙ্গের মতো বিভিন্ন রাজ্য সরকারের অভিযোগ। এই নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যেই দ্রুত ওই নীতি রূপায়ণে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। কী ভাবে তা বলবৎ করা হবে, সেই বিষয়ে এত দিনে স্কুলশিক্ষক, প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরামর্শ চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা বিভাগ। সব রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিবদের চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, অগস্টের ২৪ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে এই পরামর্শ তাদের কাছে পাঠাতে হবে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, তাদের নির্দিষ্ট করে দেওয়া একটি ফর্ম্যাটেই পরামর্শ দিতে হবে স্কুলের শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে সেই ফর্ম্যাটে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তার উত্তর দিতে হবে শিক্ষকদের। সেই সঙ্গে ওই নীতির বিষয়ে মতামত দিতে হবে। কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা দফতর রাজ্যের স্কুলশিক্ষা সচিবকে যে-চিঠি দিয়েছে, সেখানে একটি লিঙ্কও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের প্রথমে ওই লিঙ্কে ক্লিক করে নিজেদের নাম রেজিস্ট্রেশন বা নথিভুক্ত করাতে হবে। তার পরে তাঁরা নির্দিষ্ট ফর্ম্যাটে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবেন।

দেশজোড়া আপত্তি-প্রতিবাদের মধ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি দ্রুত রূপায়ণ করতেই এ ভাবে শিক্ষকদের মতামত চাওয়া হচ্ছে বলে মনে করছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। তাদের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা বিভাগের ঠিক করে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের লিখতে হবে কেন? কেন তাঁরা স্বাধীন ভাবে মতামত দিতে পারবেন না?

Advertisement

জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরির চূড়ান্ত পর্বে রাজ্যের কোনও অভিমত নেওয়া হয়নি, অথচ তা ঘোষণার পরে কেন্দ্র তার রূপায়ণ নিয়ে স্কুলশিক্ষকদের পরামর্শ চাওয়ায় সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা ও শিক্ষা প্রশাসন শিবিরের অনেকেই। তাঁদের প্রশ্ন, মাধ্যমিকের মতো জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা রদের উদ্যোগ থেকে শুরু করে শিক্ষার ভাষামাধ্যম-সহ নতুন নীতির নানান অংশ নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশ্ন ও আপত্তিকে কোনও রকম আমল দেওয়া হচ্ছে না। এখন ওই নীতি রূপায়ণের পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষকদের পরামর্শ চাওয়ার মানে কী?

“এই মতামত নেওয়াটা আসলে চোখে ধুলো দেওয়া। কোনও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নেই। আগে যখন জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া তৈরি করে পাঠানো হয়েছিল, তখন আমরা ১৮ পাতা জুড়ে মতামত লিখে পাঠিয়েছিলাম। খসড়া নীতির কোন কোন জায়গায় আমাদের আপত্তি, সবই তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল। অথচ ঘোষিত জাতীয় শিক্ষানীতিতে সেই সব অভিমত বা আপত্তির কোনও প্রতিফলনই পাইনি আমরা,” বলেন রাজ্য পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার। তাঁর প্রশ্ন, শিক্ষা তো যৌথ তালিকাভুক্ত। তা হলে রাজ্য সরকারের মতামত না-নিয়ে আগে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে কেন? পুরো বিষয়টির মধ্যেই বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব এবং গাজোয়ারি মনোভাব আছে বলে মন্তব্য করেছেন অভীকবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement