রেশন দোকানের পরিষেবা নিয়েও সঙ্ঘাতে কেন্দ্র-রাজ্য়। প্রতীকী ছবি
রেশন দোকানের পরিষেবা নিয়েও সঙ্ঘাত হতে পারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছিলেন। সেই সুবাদে রাজ্য খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁর। রাজ্যের খাদ্যসচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি সহ দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় সচিবের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে এই সঙ্ঘাতের ইঙ্গিত মিলেছে। রেশন পরিষেবাকে আরও স্বচ্ছন্দ করতে রেশন দোকানগুলিতে কমন সার্ভিস সেন্টার (সিএসসি) চালু করতে চায় কেন্দ্র। সিএসসি মারফত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা অনলাইনে পেতে পারেন সাধারণ মানুষ। সঙ্গে রেশন দোকানের মাধ্যমে পাঁচ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি শুরু করা নিয়েও আলোচনা হয়। যদিও, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রস্তাব কয়েক মাস আগেই রাজ্যগুলির কাছে পাঠানো হয়। সিএসসি-র মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং সহ আরও কিছু পরিষেবা রেশন দোকান থেকে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রস্তাবে রাজি নয় রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার রেশন দোকানে কেন্দ্রীয় সরকারের সিএসসি চালু করতে রাজি নয়। বরং বিকল্প কর্মসূচি হিসেবে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র (বিএসকে) চালু করতে আগ্রহী তারা। এ ব্যাপারে কাজ অনেক দূর এগিয়েছে বলেই খাদ্য দফতর সূত্রে খবর। খাদ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বিএসকে থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা অনলাইনে পাওয়া যাবে। একই পরিষেবা পেতে কেন পৃথক কেন্দ্র গড়বে রাজ্য? তাই নতুন করে আবার সিএসসি চালু করতে চাইছে না রাজ্য সরকার।’’ আর এই বিষয়েই ফের সঙ্ঘাত বাধতে পারে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি বাংলায় অন্য নামে রাজ্য সরকার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রের জলজীবন মিশনকে 'জলস্বপ্ন প্রকল্প' নাম দেওয়া হয়েছে, সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের নাম বদল করে 'বাংলার বাড়ি প্রকল্প' বলে চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই মর্মে জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতকে লিখিত চিঠি দিয়েও প্রতিবাদপত্র দিয়েছেন শুভেন্দু। এ বার রেশন দোকানের প্রকল্প নিয়েও কেন্দ্র-রাজ্য সঙ্ঘাত অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।