প্রয়াত মানস সাহার স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। নিজস্ব চিত্র।
মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের সদ্য প্রয়াত বিজেপিপ্রার্থী মানস সাহার বাড়িতে শুক্রবার গেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় মানসের মৃত্যু হয়েছে বলে বিজেপি-র অভিযোগ।
শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ উস্তি থানার ইয়ারপুর এলাকায় মানসের বাড়িতে যান স্মৃতি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপি-র সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, মানসের বিধানসভা এলাকার আহ্বায়ক গৌর ঘোষ-সহ অনেকে। আধঘণ্টারও বেশি সময় মানসের স্ত্রী প্রীতি এবং মেয়ে স্বাতী-সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলেন স্বাতী। পরিবারের পাশে থাকার পাশাপাশি সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্মৃতি।
গত ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিন দুপুরে ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণনাকেন্দ্রের সামনে মানসকে মারধর করে একদল দুষ্কৃতী। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাঁকে পিটিয়ে মারার চেষ্টা করে। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন মানস। তার পর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনই ছিলেন। কয়েক মাস চিকিৎসার পর সপ্তাহখানেক আগে বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু সোমবার আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ঠাকুরপুকুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
নিহতের স্ত্রী প্রীতি বলেন, ‘‘স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীদের নেতৃত্বেই আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। আমরা চাই অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি। স্মৃতি ইরানির কাছেও একই আবেদন জানিয়েছি।’’ অন্য দিকে, বিজেপি-র মগরাহাট পশ্চিমের আহ্বায়ক গৌর বলেন, ‘‘স্মৃতি ইরানি এসেছিলেন। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে গেলেন। পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।’’
প্রয়াত প্রার্থীর দেহ নিয়ে মিছিল করার সময় বৃহস্পতিবারই ভবানীপুরে পুলিশের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপি-র শীর্ষ নেতারা। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপি-র নতুন সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁকেও পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ করেছেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল-সহ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।