টিকা-নির্দেশিকা দিল কেন্দ্র। ফাইল ছবি।
নতুন বছর থেকে দেশে শুরু হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মী, করোনা যোদ্ধা ও কো-মর্বিডিটি সম্পন্ন ষাটোর্ধ্বদেরও বুস্টার টিকা দেওয়া শুরু হবে। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করলেন সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে। বৈঠকে কী ভাবে টিকাকরণ অভিযান চলবে, তার দিশা নির্দেশ দেন রাজেশ। একই সঙ্গে একটি লিখিত নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,
১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হবে ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে। স্বাস্থ্যকর্মী, করোনা যোদ্ধা এবং কো-মর্বিডিটি সম্পন্ন ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার টিকা দেওয়া শুরু হবে ১০ জানুয়ারি থেকে।
কো-মর্বিডিটি রয়েছে তার প্রমাণ হিসেবে চিকিৎসকের শংসাপত্র বা প্রেসক্রিপশনের কোনও প্রয়োজন নেই। তবে বুস্টার টিকা নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিরা টিকা কেন্দ্রে গিয়ে এবং অনলাইনে ( কো-উইন অ্যাপের মাধ্যমে), দু’ভাবেই নথিভুক্ত করাতে পারবেন। মোবাইলে কো-উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করা যাবে ১ জানুয়ারি থেকে। সরেজমিনে নথিভুক্তকরণ শুরু হবে ৩ জানুয়ারি থেকে।
রাজ্যগুলোকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি টিকা গ্রহীতাদের জন্য পৃথক করোনা টিকাকরণ কেন্দ্র স্থাপন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই টিকাকরণ কেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য পৃথক টিকা দেওয়ার দল ও পৃথক লাইনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
ভোটমুখী রাজ্যে ভোটকর্মীদের করোনা যোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হবে। সে ক্ষেত্রে করোনা যোদ্ধাদের দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার পর ন’মাস (টিকা নেওয়ার দিন থেকে ৩৯ সপ্তাহ) অতিক্রান্ত হতে হবে।
১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের শুধুমাত্র ‘কোভ্যাক্সিন’-ই দেওয়া হবে। কারণ এক মাত্র এই টিকাই এই বয়সসীমার ব্যক্তিকে দেওয়ার জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বাংলায় ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের সংখ্যা ৪৮ লক্ষ ২৩ হাজার। তাঁদের সবাইকেই টিকা দেওয়া হবে।