—ফাইল চিত্র
রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় খামতি রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। শনিবার কলকাতায় রাজ্য বিজেপির চিকিৎসক সেলের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি।
শুক্রবার বাজেট ঘোষণায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব রেখেছেন। তার পর দিনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘স্রেফ রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প শেষ করে দেওয়া হয়েছে। ওই প্রকল্পে দেশের যে কোনও জায়গায় চিকিৎসা পাওয়া যায়। রাজ্যে ৬৬টি হাসপাতাল ওই প্রকল্পের অধীনে রয়েছে। সেখানে ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দারা এসে চিকিৎসা পেলেও, রাজ্যের বাসিন্দারা পাচ্ছেন না।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, ন্যাশনাল হেল্থ প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ডায়েরিয়া, ডেঙ্গি, হাম, মেনিনজাইটিসে আক্রান্তের ক্ষেত্রে রাজ্য প্রথম সারিতে রয়েছে। টাইফয়েড, কলেরা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজ্য। এক লক্ষ জন সংখ্যার প্রেক্ষিতে রাজ্যে এমবিবিএস পড়ার আসন সংখ্যা মাত্র ২.৮৫ শতাংশ বলেও অভিযোগ তোলেন হর্ষ বর্ধন। রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দশ বছরে রাজ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থায় যা উন্নতি হয়েছে, তা মানুষ দেখেছে। শয্যা বৃদ্ধি থেকে এমবিবিএসে আসন বাড়ানো সবই হয়েছে। এখন উনি রাজনীতি করতে নেমেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ওঁর এ সব বলা মানায় না।’’
এ দিনের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে শিশু চিকিৎসক ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যে মা ও শিশু মৃত্যু রোধে গঠিত টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য গঠিত কমিটির কোঅর্ডিনেটর প্রদীপ মিত্র।