নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ১১ লক্ষ উপভোক্তাকে পাকা বাড়ি দিতে সমীক্ষা করছে রাজ্য সরকার। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ১১ লক্ষ উপভোক্তাকে পাকা বাড়ি দিতে সমীক্ষা করছে রাজ্য সরকার। তারই মধ্যে রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে গৃহহীন বাসিন্দা ও মাটির বাড়ি খুঁজতে ফের সমীক্ষার ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রের কর্তারা। প্রশাসন সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের যুগ্ম অধিকর্তা গয়া প্রসাদ ও যুগ্ম সচিব অজয় মোরে জানিয়েছেন, প্রতিটি ব্লকের সমীক্ষক দলকে নিয়ে কর্মশালা করার পরে, আগামী অর্থবর্ষের গোড়া থেকে আবাস প্রকল্পের নতুন তালিকা তৈরির কাজ ফের শুরু হবে। এ বার উপভোক্তাদের বাড়ির ১০০টি মডেল দেওয়া হবে, তা থেকে বাছতে হবে।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম-সহ কয়েকটি রাজ্যের আবাস প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা রাজ্য ও জেলা স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন কেন্দ্রের ওই দুই আধিকারিক। সূত্রের দাবি, সেখানে তাঁরা জানান, ২০১৮ সালে তৈরি তালিকার মেয়াদ ফুরিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য নতুন তালিকা তৈরির জন্য চিঠি দিয়েছে। তাই সমীক্ষা করে নতুন তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই তালিকা ধরে ২০২৯-৩০ পর্যন্ত অনুদান পাবেন উপভোক্তারা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, দু’টি পর্যায়ে সমীক্ষা হবে। প্রথম পর্যায়ে, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে যে কোনও বাসিন্দা আবেদন করতে পারবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে, সমীক্ষক দল তথ্য সংগ্রহ করবে। তার ভিত্তিতে তালিকা তৈরি হবে। প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, “আবাস যোজনার অনুদানের জন্য রাজ্য যে সব মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে, নতুন তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে কেন্দ্রও তাতে মান্যতা দিতে চাইছে।”
রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বক্তব্য, “আমরা নতুন তালিকা তৈরির জন্য বার বার চিঠি দিচ্ছি। সে জন্য ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠক করেছে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি, “এ বার চূড়ান্ত তালিকার জন্য অপেক্ষা করছি। ঠিকঠাক না হলে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে নবান্ন পর্যন্ত বিক্ষোভ-কর্মসূচি তৈরি আছে।”