মাথাভাঙা ১ ব্লকের গোপালপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি। —নিজস্ব চিত্র।
আদালতের নির্দেশ, রাজ্যে আরও দশ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্কুলেই রয়েছে বাহিনী। ফলে দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক শুরু হওয়া নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
১ অগস্ট থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন শুরু হওয়ার কথা সমস্ত স্কুলে। আদালতের নতুন নির্দেশের ফলে যে সব স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে যাবে, সেখানে ৩ অগস্টের আগে স্কুল খোলাই যাবে না। ফলে সেখানে কী করে পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন শুরু হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্কুলগুলো জানিয়েছে, এ নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। যদিও পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ‘‘যে সব স্কুলে এখনও বাহিনী রয়ে গিয়েছে, সেই সব স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন।’’ যদিও কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়ম মেনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা তাঁরা পর্ষদকে জানাননি। বরং নিয়মটা কী, সে ব্যাপারেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা মন্দিরবাজার এলাকার ঝাপবেরিয়া স্কুলের শিক্ষক অনিমেষ হালদার জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুল থেকে গত শনিবার বাহিনী চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাহিনী রয়ে গিয়েছে। অনিমেষ বলেন, ‘‘বাহিনী কবে যাবে, কোনও ধারণাই নেই। ফলে দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ১ অগস্ট থেকে শুরু করা যাবে কি না, আমরা অন্ধকারে। নিয়ম মেনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা পর্ষদকে বলিনি।’’
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের একটি স্কুলের শিক্ষক তথা মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সদস্য শম্ভু মান্নার কথায়, ‘‘আমাদের জেলায় বেশ কিছু স্কুলে বাহিনী রয়ে গিয়েছে। কয়েকটি স্কুলে বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কিছু ক্লাসরুমে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে এ ভাবে দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়। তখন প্রতিটি ক্লাসেই পরীক্ষা হওয়ার কথা।’’ শম্ভু জানিয়েছেন, পরীক্ষা কী ভাবে হবে, তা পর্ষদকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এপিডিআরের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূর বলেন, ‘‘এ ভাবে স্কুলবাড়িগুলো কেন্দ্রীয় বাহিনী দখল করে রাখার ফলে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর শিক্ষার অধিকার বিপন্ন। কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার বিকল্প ব্যবস্থা করে অবিলম্বে স্কুলবাড়িগুলো খালি করে দেওয়া হোক।’’