পঞ্চায়েত ভোটের ফলঘোষণার ১০ দিন পরেও রাজ্যেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। —ফাইল ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের ফলঘোষণার পরেও রাজ্যে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ, ফলপ্রকাশের পর ১০ দিন বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে, যাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে তদন্ত করতে সিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বিরোধীদের মুখে ফিরে আসে সেই হিংসার ঘটনার কথা। বিজেপি তথা বিরোধীদের দাবি ছিল, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঠেকাতে ফলপ্রকাশের পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকুক বাংলায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে আদালত অবমাননার মামলাটি করেছিলেন, তাতেও এই আর্জি ছিল। শুভেন্দুর আইনজীবী গুরুকৃষ্ণ কুমারের আর্জি ছিল, ভোট পরবর্তী হিংসা ঠেকাতে ফলপ্রকাশের পর অন্তত দু’সপ্তাহ বাহিনী মোতায়েন থাকুক রাজ্যে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশের পর আরও ১০ দিন বাংলায় মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মূলত, নির্বাচিতদের এবং সামগ্রিক ভাবে মানুষের নিরাপত্তার জন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে আদালত জানিয়ে দিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের ফলগণনা শুরু হবে আগামী ১১ জুলাই। কিন্তু প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে ১২ তারিখ হয়ে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ১২ জুলাইয়ের পর আরও ১০ দিন বাহিনী মোতায়েন রাখতে হবে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোট দিতে ব্যবহার হবে যে ব্যালট বাক্স, তার নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
এ দিন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী আদালতকে জানান, গত ৪ জুলাই রাত ৯টা নাগাদ ‘রিক্যুইজ়িশন’ (কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে তা জানিয়ে সামগ্রিক পরিকল্পনা) কমিশন জমা দেয় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। ৫ জুলাই তাতে অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তার পর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যের উদ্দেশে রওনা দিতে শুরু করে। দফায় দফায় বাহিনী এসে পৌঁছচ্ছে রাজ্যে। যদিও কেন্দ্রের আইনজীবীর ইঙ্গিত, ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে সম্পূর্ণ বাহিনী পৌঁছতে সমস্যা হতে পারে।