West Bengal Panchayat Election 2023

পঞ্চায়েতে নিরাপত্তা দিতে লেহ্‌ থেকে ‘এয়ারলিফ্‌ট’, পানাগড়ে নামলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা

বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা দিতে বাহিনী এল লাদাখের লেহ্‌ থেকে। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে তাঁদের উড়িয়ে আনা হয় পানাগড়ে। সেখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের মোতায়েন করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩ ১৫:১০
Share:

লাদাখের লেহ থেকে বিশেষ বিমানে বাংলায় এল কেন্দ্রীয় বাহিনী। — নিজস্ব চিত্র।

বাহিনী-জট সমাধানে বিশেষ বিমানে লেহ্‌ থেকে ‘এয়ারলিফ্‌ট’ করে রাজ্যে আনা হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। চিঠি দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এমনই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে কলকাতা নয়, দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ বাহিনী সোজা নামে পানাগড়ের বিমানঘাঁটিতে। সেখান থেকে তাঁদের মোতায়েন করা হবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়।

Advertisement

রাত পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বাহিনীর আসা নিয়ে ধন্দ ছিল। আদৌ প্রয়োজনমাফিক বাহিনী পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ভোট শুরুর আগের দিন সেই সমস্যা সমাধানের পথ দেখা যেতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য লাদাখের লেহ্‌ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিমানে করে তুলে আনা হচ্ছে বাংলায়। মোট পাঁচ কোম্পানি এবং দুই প্লাটুন (প্লাটুনে ৩৫ জন থাকেন, তাঁর মধ্যে সক্রিয় থাকেন ৩০ জন) বাহিনী লেহ্‌ থেকে বিমানে এসে নামছে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ের বিমানঘাঁটিতে। সেখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের মোতায়েন করা হবে।

কমিশনের চেয়ে পাঠানো (রিক্যুইজ়িশন) ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে লেহ্‌ থেকে আসছে পাঁচ কোম্পানি এবং দুই প্লাটুন। তা হলে বাকি ৪৮০ কোম্পানির সামান্য কম বাহিনীকেও কি এয়ারলিফ্‌ট করেই আনা হবে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠিতে সেই সম্পর্কে কিছু নেই। বাকি বাহিনী কী ভাবে আসবে, বা আদৌ আসবে কি না, সে ব্যাপারে কমিশনের কাছেও খবর নেই।

Advertisement

এরই মধ্যে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর তথা আইজি (বিএসএফ)। আইজি বিএসএফের প্রস্তাব, কোনও বুথে হাফ সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারে না। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি এবং দু’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে হাফ সেকশন বাহিনী (অর্থাৎ ৫ জন জওয়ান। যার মধ্যে সক্রিয় থাকবেন চার জন), তিনটি এবং চারটি বুথ থাকলে কমপক্ষে এক সেকশন বাহিনী, পাঁচ এবং ছ’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে দেড় সেকশন বাহিনী এবং সাতটি বা তার থেকে বেশি বুথ থাকলে কমপক্ষে দু’সেকশন বাহিনী মোতায়েন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ‘স্ট্রংরুম’ (যেখানে ব্যালটবাক্স রাখা হয়)-এ এক কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। যার মধ্যে ৮০ জন জওয়ান সক্রিয় থাকবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement