৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডির ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। —ফাইল চিত্র ।
শাহজাহান শেখের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় যে সাত জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, তারা কি আদৌ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন? এই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। আর সেই প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে এ বার স্থানীয় এক চা বিক্রেতাকে নিয়ে বসিরহাট আদালতে গেল সিবিআই। ওই চা বিক্রেতার নাম সাইফুদ্দিন মোল্লা। বসিরহাট আদালতে সইফুদ্দিনের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। পাশাপাশি, ইডির উপর হামলার ঘটনায় ধৃত সুকোমল সর্দার, মাহাবুর মোল্লাকেও গোপন জবানবন্দির জন্য বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েক দিন আগেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে সইফুদ্দিনকে জেরা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দল।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন মামলার তদন্তে শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। কিন্তু সেখানে গিয়ে শাহজাহানের ‘অনুগামীদের’ হাতে প্রহৃত হন ইডির পাঁচ আধিকারিক। মার খেয়ে তিন আধিকারিককে হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়। অভিযোগ ছিল, শুধু মারধরই নয়, ইডি আধিকারিকদের কাছে থাকা মোবাইল, ল্যাপটপ এবং নগদ টাকাও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও ধৃত এবং তাঁদের পরিবারের দাবি, তাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। ফাঁসানো হচ্ছে তাঁদের।
এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তৎপর হয়েছে সিবিআই। সত্যি খুঁজে বার করতে কয়েক জনের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার বিষয়ে বসিরহাট মহকুমা আদালতে আবেদনও জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুমতি পেয়ে গোপন জবানবন্দির জন্য ওই স্থানীয় চা বিক্রেতা এবং দুই অভিযুক্তকে নিয়ে বসিরহাট আদালতে গিয়েছে সিবিআই। সেখানে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে তাঁদের জবানবন্দি নেওয়া হবে।