অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার বহু কোটি টাকা তছরুপের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে অন্যদের পাশাপাশি চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নকেও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সেই সারদা-কাণ্ডে তাঁকে আবার তলব করল সিবিআই। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রের খবর।
বছর চারেক আগে সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত সন্দেহে শুভাপ্রসন্নকে কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ, সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে কয়েক কোটি টাকায় একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম বিক্রি করেছিলেন শুভাপ্রসন্ন। এমনকি মালিকানা হাতবদলের পরেও শুভাপ্রসন্ন সেই সংবাদমাধ্যমের ডিরেক্টর হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও ওই বৈদ্যুতিন সংস্থার কোনও সংবাদ অথবা অন্য কোনও অনুষ্ঠান কখনওই সম্প্রচারিত হয়নি।
সিবিআই সূত্রের খবর, তাঁদের জেরার মুখে সুদীপ্ত অভিযোগ করেন, কার্যত জোর খাটিয়ে শুভাপ্রসন্ন তাঁকে ওই সংবাদমাধ্যমটি কিনতে বাধ্য করিয়েছিলেন। এ বার সিবিআইয়ের নোটিস পাওয়ার পরে শুভাপ্রসন্ন ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, তাঁকে সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি বিক্রির বিষয়ে এর আগে একাধিক বার ব্যবসায়ী শিবাজী পাঁজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তদন্তকারীদের কথায়, শুধু মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি বিক্রি নয়। শিবাজী চলচ্চিত্র নির্মাতাও বটে। অভিযোগ, সিনেমা তৈরি করবেন বলে তিনি সারদার মালিক সুদীপ্তের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ছবি কখনও তৈরি হয়নি। শিবাজী টাকাও ফেরত দেননি বলে সিবিআইয়ের দাবি।
মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি বিক্রি নিয়ে সম্প্রতি শিবাজীকে আবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। সেই সংক্রান্ত যে-সব নথি তাঁর
কাছে রয়েছে, সেগুলিও চেয়েছে সিবিআই। শিবাজী এখন কলকাতায় নেই। তিনি কলকাতায় ফিরেই তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে সিবিআই-কে জানিয়েছেন। এ দিন শিবাজীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি রথযাত্রার জন্য পুরীতে আছি। ফিরেই নথি জমা দেব। এখনও পর্যন্ত যত বার ডাকা হয়েছে, আমি গিয়েছি। সহযোগিতা করেছি। আবার ডাকা হলে আবার যাব।’’
অন্য দিকে, নারদ স্টিং অপারেশনের ঘটনা সম্পর্কে আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকর্তা এসএমএস মির্জাকে আজ, বুধবার তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে মঙ্গলবার জানা গিয়েছে।