— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এ বার প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট দিল সিবিআই। এর আগে একটি চার্জশিট দিয়েছিল। শুক্রবার আলিপুর সিজিএম কোর্টে দ্বিতীয় চার্জশিট দিল তারা। ২০ পাতার চার্জশিটে নাম রয়েছে কৌশিক মাঝি, পার্থ সেনের।
সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটে তাপস সাহা, কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষের নাম ছিল। অতিরিক্ত চার্জশিটে নাম রয়েছে কৌশিক, পার্থের। এস বসু রায় সংস্থার অংশীদার কৌশিক। ওই সংস্থা ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) প্রস্তুত করত। পার্থ ওই সংস্থারই কর্মচারী। চার্জশিটে অভিযোগ, এই দু’জন নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত। আরও অভিযোগ, ৭০০ অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। যে তালিকা আদানপ্রদান হয় ওই সংস্থার সঙ্গে। ওই তালিকায় থাকা ৩০০ জনের বেশি অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী চাকরি পেয়েছিলেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২০১ নম্বর ধারা (প্রমাণ লোপাট) দেওয়া রয়েছে। উত্তরপত্রের স্ক্যান কপি নেই বলে দাবি করেছিল এস বসু রায় সংস্থা। সিবিআইয়ের ধারণা, উত্তরপত্রের স্ক্যান কপি ছিল। কিন্তু নষ্ট করা হয়েছে। কোনা এক্সপ্রেসের ধারে একটি গুদামে প্রাথমিক নিয়োগের উত্তরপত্র রাখা ছিল। সেই নিয়ে যখন আরটিআই (তথ্য জানার অধিকার আইন) আবেদন হয়েছে, তখন গুদাম থেকে একটি করে উত্তরপত্র বার করে এনে দেখিয়েছেন সংস্থা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, লাখ লাখ উত্তরপত্র থেকে একটি বার করে আনা সহজ নয়। উত্তরপত্র স্ক্যান করে প্রতিলিপি রাখাই ছিল। যখন আরটিআই আবেদন হত, তখন সেখান থেকেই দেখানো হত। সেগুলো পরে নষ্ট করা হয়েছে। সে কারণে প্রমাণ লোপাটের ধারা দেওয়া হয়েছে চার্জশিটে। এ ছাড়াও ভারতীয় ন্যায় সংহিতা মেনে ৪৬৭, ৪৭১, ১২০বি, ৪২০, ৪৬৮, ২০১ ধারাও দেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্ত আইনও চার্জশিটে দেওয়া হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত ওই চারটি মামলারই তদন্ত শেষ হয়েছে। সূত্রের খবর, এসএসসির সব মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম যুক্ত করেছে সিবিআই। চার্জশিটে তার উল্লেখ থাকছে।