ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
প্রায় ১০ ঘণ্টা তল্লাশির পর কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি থেকে বেরোল সিবিআই। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ফিরহাদের চেতলার বাড়িতে ঢুকেছিলেন সিবিআই কর্তারা। ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ তাঁরা দু’টি গাড়িতে বেরিয়ে যান এলাকা ছেড়ে। বাইরে এসে সিবিআই কর্তারা অবশ্য ১০ ঘণ্টার তল্লাশি নিয়ে কিছু বলেননি। তবে সিবিআই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ফিরহাদের কন্যা প্রিয়দর্শিনী। লোহার গেটের ফাঁক দিয়ে মুখ বাড়িয়ে তিনি বলেন , ‘‘মানসিক নির্যাতন হয়েছে।’’
রবিবার সকালে সিবিআইয়ের একটি দল চেতলায় ফিরহাদের বাড়িতে পৌঁছয়। তার পর থেকে সন্ধে সওয়া ৬টা পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে ছিল সিবিআই। টানা প্রায় ১০ ঘণ্টা কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ভিতরে। মূল ফটক ঘিরে রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানেরা। যদিও ফিরহাদের বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা। বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেন অনেকে।
বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ফিরহাদের কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। তাঁকেও ভিতরে যেতে দেওয়া হয়নি দীর্ঘ ক্ষণ। দরজায় দাঁড়িয়ে সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলে প্রিয়দর্শিনীর। পরে তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়।
সিবিআই সূত্রে খবর, পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত ‘দুর্নীতি’র তদন্তে এই তল্লাশি করা হচ্ছে। রবিবার সাতসকালে প্রচুর সিআরপিএফ জওয়ান সঙ্গে নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে বের হন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা। সোজা ঢোকেন দক্ষিণ কলকাতার চেতলায় কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদের বাড়িতে। পরে সিবিআইয়ের অন্য় আরও কয়েকটি দল পৌঁছয় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতেও। এ ছাড়াও কলকাতা সংলগ্ন আরও ১০টি এলাকায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। এর মধ্যে মদনের দক্ষিণেশ্বরের অফিস ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার পুরপ্রধান এবং প্রাক্তন পুর প্রধানের বাড়িতে চালানো হয় তল্লাশি।
রবিবার ফিরহাদের বাড়ির সামনে আসেন তাঁর আইনজীবী গোপাল হালদারও। তাঁকেও ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। আইনজীবী জানান, তাঁর প্রবেশাধিকার রয়েছে। সিআরপিএফ জওয়ানেরা তাঁকে বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন। পরে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত বাড়িতে তিনি ঢুকতে পারবেন না।
(এই খবরটি সবেমাত্র দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত খবরটি কিছু ক্ষণের মধ্যেই আসছে। অপেক্ষা করুন। পাতাটি কিছু ক্ষণ পর পর রিফ্রেশ করুন। আপডেটেড খবরটি আপনি দেখতে পাবেন। অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে সচেতন। সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।)