—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
যে রাতে চিকিৎসক পড়ুয়াকে নির্যাতন এবং খুন করা হয়েছিল, সেই রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ৪৯ জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন ছিলেন। তাঁদের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল সিবিআই। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন নিরাপত্তারক্ষী শুক্রবার রাতেই পৌঁছে গেলেন সিবিআইয়ের দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ১৩ জনের বয়ান নেওয়া হবে।
শুক্রবার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। শুক্রবার দুপুরে রাস্তা থেকে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় সিবিআইয়ের গাড়িতে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, হাজিরা দিতে চাইলেও নিরাপত্তা নিয়ে ‘চিন্তিত’ ছিলেন সন্দীপ। সেই কারণেই সিবিআই নিজেদের গাড়িতে করে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সন্দীপের পাশাপাশি, শুক্রবার আরজি করের বেশ কয়েক জন পড়ুয়া চিকিৎসককেও তলব করেছে সিবিআই। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের তলব পেয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন ওই পড়ুয়া চিকিৎসকেরা। বৃহস্পতিবার তদন্তের কারণে কয়েক জনকে পড়ুয়াকে তলব করেছিল সিবিআই। সেই দিন রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে যে পড়ুয়া চিকিৎসকেরা হাসপাতালের ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে, ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের দিন কী হয়েছিল, তা জানতেই ফের কয়েক জনকে তলব করা হয়েছে।
আরজি কর-কাণ্ডে মঙ্গলবারই সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। রাতেই মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র সিবিআইকে হস্তান্তরিত করে কলকাতা পুলিশ। এর পর বুধবার সকালে ধৃত অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেনি সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। পাঁচ জনের দলের নেতৃত্বে ছিলেন সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা।