Poor Condition of School

ভগ্নপ্রায় স্কুল ভবন, চিন্তা পড়াশোনায়

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের অন্তর্গত লালদহ গ্রামে ১৯৭১ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:২৮
Share:

কোথাও স্কুলের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। কোথাও ছাদের চাঙর ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টি হলে মিড-ডে মিলের ছাউনির ফুটো থেকে জল ঝরে। এমনকি, রাত নামলে স্কুল চত্বরে বসে সমাজবিরোধীদের আসর। এই অবস্থা আলবাঁধা সর্পলেহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লালদহ সর্বানন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের। এ নিয়ে বার বার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের অন্তর্গত লালদহ গ্রামে ১৯৭১ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলে ২০৫ জন ছাত্রছাত্রী ও ১২ জন শিক্ষক, শিক্ষিকা রয়েছেন। স্কুলে ছ’টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। কয়েক বছর আগে একটি শ্রেণিকক্ষের একাংশ ভেঙে পড়ে। সেই শ্রেণিকক্ষটি বন্ধ রয়েছে। এখন পাঁচটি শ্রেণিকক্ষে ক্লাস হয়। সেগুলির অবস্থাও খারাপ বলে ক্ষোভ ছাত্রছাত্রীদের।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, স্কুলে শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের কোনও বসার ঘর নেই। তাদের বিশ্রাম নিতে হয় স্কুলেরই একটি শ্রেণিকক্ষে। স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। স্কুলে কোনও সীমানা পাঁচিল না-থাকায় রাত নামলেই সমাজবিরোধীদের আসর বসে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে স্কুলের তরফে বার বার আবেদন করা হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

স্কুলের পড়ুয়া বৃষ্টি কর্মকার, সুচন্দ্রা কোরারা বলে, “ ক্লাসরুমের যা অবস্থা তাতে যে কোনও দিন চাঙর ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ভয়ের মধ্যে আমাদের ক্লাস করতে হয়।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপদতারণ ভৌমিক বলেন, “স্কুলের ভবনগুলি বেশ পুরনো। নানা জায়গায় ফাটল ধরেছে। চাঙর ছাড়তে শুরু করেছে। অবিলম্বে সেগুলির সংস্কার প্রয়োজন। এ নিয়ে আমরা বার বার বহু জায়গায় জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা পাইনি।”

বোলপুর-শ্রীনিকেতনের বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। কিছুদিন আগেই আমরা স্কুলটি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এ নিয়ে জেলাতেও জানানো হয়েছে। অর্থ এলেই স্কুলের সংস্কারে যা যা প্রয়োজন তা করা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement