পুকুরে মোবাইল ফেলেছিলেন বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র।
বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার পুকুরে ছুড়ে ফেলা একটি মোবাইল উদ্ধার করল সিবিআই। তিন দিন তল্লাশি অভিযান চালানোর পর অবশেষে মোবাইলটি পাওয়া গিয়েছে। তবে আরও একটি মোবাইল পুকুরে ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। সেই মোবাইলটি এখনও পাওয়া যায়নি। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তখনই তিনি নিজের দু’টি মোবাইল বাড়ির পাশের পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। সেই থেকে পুকুরে চিরুনিতল্লাশি চালাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। যেনতেনপ্রকারেণ মোবাইল দু’টি উদ্ধারের চেষ্টা চলছিল। এই কাজে স্থানীয়দের সাহায্যও নিচ্ছিল সিবিআই। পুকুর ছেঁচে জল কমিয়ে মোবাইলগুলি খোঁজা হচ্ছিল।
৩২ ঘণ্টা তল্লাশির পর অবশেষে একটি মোবাইল উদ্ধার করা গিয়েছে। ওই পুকুরে মোট তিনটি পাম্প বসিয়ে জল ছেঁচে তোলার কাজ চলছিল। শনিবার রাত ১টা নাগাদ পাম্প বন্ধ করা হয়। প্রাথমিক ভাবে সিবিআই মনে করেছিল, পুকুরের সমস্ত জল তুলে ফেলা গিয়েছে। কিন্তু ভোররাত থেকে আবার পুকুরে জল বাড়তে থাকে। ভোর ৩টে নাগাদ আরও একটি পাম্প চালানো হয় জল তোলার জন্য।
রবিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ ওই পুকুরের সব জল তুলে ফেলা সম্ভব হয়। এর পর ৭টা ৩৫ মিনিট নাগাদ একটি মোবাইল খুঁজে পান গোয়েন্দারা। এই কাজে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয় ৪ জন শ্রমিক এবং এক মৎস্যজীবী।
মোবাইল উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিবিআইয়ের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। তিনি জল থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনটি খতিয়ে দেখছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই পুকুর ঘিরে রেখেছে বলে খবর। কাউকে পুকুরের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের জন্য পুকুরে এখনও তল্লাশি চলছে।
এ দিকে, জীবনকৃষ্ণ এখনও বাড়ির ভিতরেই রয়েছেন। তাঁকে সারা রাত জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। সকালে নতুন করে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তৃণমূল বিধায়ককে।