ফাইল চিত্র।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সহগল হোসেনকে আবারও জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল সিবিআই আদালত। গত ২৪ জুন সহগলকে আদালতে হাজির করানো হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার মেয়াদ শেষে সহগলকে শুক্রবার ফের আদালতে হাজির করানো হয়। শুনানি শেষে বিচারকের নির্দেশ, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই থাকবেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতের দেহরক্ষী। পাশাপাশিই, সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, ৯০ দিনের মধ্যেই গরু পাচার মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হবে আদালতে।
সহগলের বিষয়সম্পত্তির ‘সিজার লিস্ট’ তুলে ধরে আদালতে সিবিআই আগেই দাবি করেছে, রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে থাকা সহগল অনুব্রতের দেহরক্ষী হওয়ার পর প্রচুর সম্পত্তি করেছেন। তাঁর ছোট্ট বাড়ি প্রায় প্রাসাদ হয়ে উঠেছে। কলকাতার নিউটাউন, বোলপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর ফ্ল্যাট, জমি, গয়না ও অন্যান্য সম্পত্তির বহরও বেশ চোখে পড়ার মতো। কনস্টেবল থেকে ক্রমে ধনকুবের হয়ে ওঠা সহগলের সম্পত্তির পরিমাণ অন্তত ১০০ কোটি টাকা বলেই দাবি তদন্তকারীদের। শুক্রবারের শুনানিতেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, সহগলকে জেরা করে এবং বিভিন্ন জায়গায় খানাতল্লাশি চালিয়ে আরও বহু সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। এমন ৪৫টি জমির ডিডের হদিস মিলেছে, যেগুলি অনুব্রতের বলেও দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।
যদিও সহগলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা জানান, সিবিআই আদালতকে সহগলের বিষয়সম্পত্তির যে তালিকা দিয়েছে, তাতে জমির উল্লেখ আছে বটে, কিন্তু কারও মালিকানার উল্লেখ নেই। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য আদালতকে জানান, ৯০ দিনের মধ্যেই গরু পাচার মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।