‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে বুধবারও আদালতে হাজির করানো যায়নি। —ফাইল চিত্র।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ এখনও অসুস্থ। বুধবারও তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারল না সিবিআই। বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল। কিন্তু ‘কাকু’ আসেননি। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিচারভবনে। সেখানে জানানো হয়েছে, অসুস্থতার কারণে ‘কাকু’ জেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাই তাঁকে আদালতে সশরীরে হাজির করানো যাচ্ছে না।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে এর আগে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। গত ২০ জানুয়ারি সেখান থেকে ছুটি পেয়ে আবার তিনি জেলে ফেরেন। কিন্তু এখনও ‘কাকু’ পুরোপুরি সুস্থ হননি বলে দাবি। গত ২১ জানুয়ারি ‘কাকু’কে আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল। সে দিনও তিনি আদালতে যাননি। পরবর্তী তারিখ হিসাবে বুধবার যাওয়ার কথা ছিল। তা-ও হল না। আদালত থেকে আবার খালি হাতে ফিরতে হল কেন্দ্রীয় সংস্থাকে।
‘কাকু’ যে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সেখান থেকে বলা হয়েছিল, নতুন করে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে অ্যাঞ্জিয়োগ্রাফি করার দরকার পড়তে পারে। বসাতে হতে পারে স্টেন্টও। সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি না, এখনও জেল কর্তৃপক্ষ তা স্পষ্ট করেননি। তবে অসুস্থতার কারণেই তাঁকে বুধবার বিচারভবনে হাজির করানো যায়নি।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দীর্ঘ দিন ধরে জেলে সুজয়কৃষ্ণ। এর আগে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল ইডি। এ বার সিবিআইও সেই নমুনা সংগ্রহ করতে চায়। এই সংক্রান্ত আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। ‘কাকু’কে সশরীরে আদালতে হাজির না-করালে ওই নমুনা সংগ্রহ করা যাবে না। কিন্তু বার বার আদালত থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে সিবিআইকে।
নিয়োগকাণ্ডে ইডির মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে গিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ (গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে আবার গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া) করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। মূলত কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার জন্যই তাঁকে হেফাজতে নিতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু ‘কাকু’র অসুস্থতার কারণে এখনও নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।