এনামুল হক। —ফাইল চিত্র।
গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল হককে। সিবিআই সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও সিবিআই এনামুলকে গ্রেফতার করেছিল সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কামান্ডান্টকে ঘুষ দেওয়ার মামলায়।
ঘুষ মামলায় ধৃত কেরলের বাসিন্দা এবং বিএসএফের কমান্ডান্ট জিবু ডি ম্যাথিউয়ের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়েই সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পারেন এনামুল হক এবং তাঁর গরু পাচারের সিন্ডিকেটের কথা।
জানা যায়, গবাদি পশু আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পাচার করতে সহায়তা করার বিনিময়ে এনামুলের পাচার সিন্ডিকেট থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা পেয়েছিল জিবু। ওই বিএসএফ আধিকারিককে জেরা করেই সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, জিবু ছাড়াও, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে কর্মরত একাধিক বিএসএফ আধিকারিক এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের একাধিক শীর্ষ আধিকারিক এনামুলের পাচার সিন্ডিকেটের কাছ থেকে বিপুল অর্থ পেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর বোমা-বন্দুকের লড়াই, কোচবিহারের শালমারাতে পুড়ল বাজার, বাইক
আরও পড়ুন: শাহী বৈঠকে শোভন-বৈশাখী, রাতে সাক্ষাৎ শহরের হোটেলে
সেই সূত্র ধরেই গত সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সিবিআই কলকাতা শাখা অফিসে গবাদি পশু পাচার নিয়ে আলাদা একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। তল্লাশি চালানো হয় সতীশ কুমার নামে এক বিএসএফ আধিকারিকের সল্টলেকের বাড়িতে। ওই মামলায় সতীশ ছাড়াও অভিযুক্ত হিসাবে এফআইআর করা হয়েছে এনামুল হক, সতীশের ছেলে এবং এনামুলের কয়েকজন শাগরেদের বিরুদ্ধে। সতীশের বাড়ির পাশাপাশি ওই দিন বেনিয়াপুকুরে এনামুলের বাড়িতেও তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, এনামুলকে দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে।