শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে তৃণমূলের সাসপেন্ড নেতা শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকায় খুনের চেষ্টর ধারা যুক্ত করল সিবিআই। শুক্রবার সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানোর পর ধৃত নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা যুক্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার বিবৃতিতে সিবিআই জানিয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে যে মামলা দায়ের হয়, তার প্রেক্ষিতে শুক্রবার ওই স্থানে অভিযান চালানো হয়। তদন্তের সুবিধার্থে ফরেন্সিক দলের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। পুরো অভিযানে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
বস্তুত, গত মঙ্গলবার হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিবিআই। পর দিন, বুধবার সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মোট তিনটি এফআইআর দায়ের করে তারা। তার মধ্যে একটি এফআইআর হয় ইডির অভিযোগের প্রেক্ষিতে। বাকি দু’টির একটি রাজ্য পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং অন্যটি রেশন বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গত ৫ জানুয়ারি ইডির আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগ ছিল। কিন্তু সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরে খুনের চেষ্টার ধারা ছিল না। শুধু একটি এফআইআরে মূল অভিযুক্ত হিসাবে শাহজাহানের নাম ছিল। এ বার সিবিআইও শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করল।
এর আগে শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি ধারায় মামলা করা হয়। ন্যাজাট থানার ওই মামলাগুলিতে ডাকাতি থেকে শুরু করে খুনের চেষ্টা— বিবিধ অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির নেতা শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তার পর তাঁর ঠিকানা ছিল ভবানী ভবন। ঘটনাক্রমে মঙ্গলবার হাই কোর্টের নির্দেশে রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষার পর খালি হাতেই ফিরতে হয় তাঁদের। পর দিন, বুধবার ইডির দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আবারও হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় যে, সিবিআইয়ের হাতেই তুলে দিতে হবে শাহজাহানকে। বুধবার সন্ধ্যায় শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়া মোড়ে শাহজাহানের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের কয়েক জন আধিকারিক। ইডি যে বাড়ি সিল করেছিল, সেখানে অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা।