Lottery Win

কোটি টাকার লটারির টিকিট অনেক কম দামে কেনেন কেষ্ট! বিজেতার দাবি শুনে তৃণমূল বলল, ফালতু কথা

গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে হাজির করানো হবে শুক্রবার। তার আগেই বুধবার নতুন দিকে মোড় নিল লটারি-রহস্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২ ১৪:০৯
Share:

নয়া মোড় নিল লটারি রহস্য। — ফাইল চিত্র।

গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে হাজির করানো হবে শুক্রবার। তার আগেই বৃহস্পতিবার লটারি-রহস্য নতুন মোড় নিল। সিবিআইয়ের দাবি, লটারিতে এক কোটি টাকা পেয়েছিলেন নানুরের বড়শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা নুর আলি। সেই নুরকে বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনে নিজেদের অস্থায়ী দফতরে তলব করে সিবিআই। নুরের বাবা কটাই শেখ দাবি করেছেন, তাঁর ছেলের কাছ থেকে লটারির টিকিট কিনে নিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারা। ‘গাঙ্গুলি লটারি’র মালিক বাপি গঙ্গোপাধ্যায়ও দাবি করেছেন, ৮৩ লক্ষ টাকায় নুরের কাছ থেকে কিনে নেওয়া হয়েছিল ১ কোটি টাকার ওই লটারিটি। যদিও, কটাই এবং বাপির দাবি ‘ফালতু কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

Advertisement

গত জানুয়ারি মাসে প্রথম বার অনুব্রতের লটারি জেতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় একটি জনপ্রিয় লটারি সংস্থার ওয়েবসাইটে ১ কোটি টাকার লটারির বিজেতা হিসাবে অনুব্রতের নাম এবং ছবিও দেখা যায়। অনুব্রত নিজে অবশ্য লটারি জেতার কথা কখনও স্বীকার করেননি। সিবিআই মনে করছে, বড়শিমুলিয়ার বাসিন্দা নুর-ই আসলে এক কোটি টাকার লটারির টিকিট জিতেছিলেন। কিন্তু পরে সেই টিকিট যায় অনুব্রতের হাতে। আর তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নুরকে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। আবার বৃহস্পতিবারই তলব করা হয়েছিল ‘গাঙ্গুলি লটারি’র মালিক বাপিকেও। নুর এবং বাপিকে একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনাও রয়েছে।

শান্তিনিকেতনে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের সামনে দাঁড়িতে বৃহস্পতিবার নুরের বাবা কটাই শেখ অভিযোগ করেছেন, তাঁর ছেলের পাওয়া লটারি চাপ দিয়ে কিনে নিয়েছিল তৃণমূল। কটাইয়ের দাবি, ‘‘আমার ছোট ছেলে নুর লটারিতে টাকা পেয়েছিল। সেই লটারির টিকিটটি নিতে বাইরে থেকে অনেক লোক এসেছিল আমাদের বাড়িতে। তারা তৃণমূল করে। টিকিট কেড়ে নেওয়ার জন্য আমাকে ৭ দিন খেতে দেয়নি। আমি বাড়িছাড়া হয়ে গিয়েছিলাম।’’

Advertisement

কটাইয়ের সুরে সুর মিলিয়ে বাপির বক্তব্য, ‘‘৮৩ লক্ষ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেনা হয়েছিল। আমাকে শুধু মাত্র বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুন আমাকে বাহিরিগ্রামে নিয়ে গিয়েছিল। লটারির টিকিটটি মিলিয়ে নেওয়ার জন্য সেখানে বাহিরি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান ভজন ছিলেন। এর বাইরে আমি কিছু জানি না। আমার কাছে সিবিআই তথ্য নিচ্ছে। আমি দিচ্ছি।’’

বিশ্বজ্যোতি যদিও এই মুহূর্তে দিল্লি রয়েছেন। তাঁকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেখানে তলব করেছে। তবে কটাইয়ের লটারি হাতানোর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ সব ফালতু কথা। এক শ্রেণির লোক এগুলিকে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল করার চেষ্টা করছে। তারা তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। এত দিন কি তিনি ঘুমোচ্ছিলেন? তিনি লটারি কেটেছেন আর কেউ গিয়ে কেড়ে নেবে? কই তিনি তো কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি থানায়?’’ বুধবার মুনকে দিল্লিতে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হবে অনুব্রতকে। এই আবহে নতুন মাত্রা যোগ হল লটারি-সংবাদে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement