—ফাইল চিত্র।
কমবেশি ৩০ বছর আগেকার মামলা। কিন্তু অভাব সাক্ষীর। সেই জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে হামলার মামলা চালানো সম্ভব নয় বলে বুধবার আলিপুর আদালতে জানালেন দুই সরকারি আইনজীবী। ১৯৯০ সালের ১৬ অগস্ট তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতার উপরে লালু আলম নামে এক ব্যক্তি হামলা চালান বলে অভিযোগ। এ দিন আলিপুর আদালতে ওই মামলার শুনানি ছিল। বিচারক পুষ্পল শতপথীর এজলাসে লিখিত ভাবে এই বক্তব্য পেশ করে বিষয়টি বিবেচনা করার আবেদন জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ঘটনার দিন হাজরা মোড় অবরোধ করেছিলেন মমতা। সেই সময় লালু তাঁর উপরে হামলা চালান। মাথায় গুরুতর আঘাত পান বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। মাসখানেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় ভবানীপুর থানা আলিপুরে মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের আদালতে লালু-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। লালু-সহ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়। মামলার বিচার শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। মমতাও সাক্ষ্য দেন। পরে আরও অনেকের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
সেই মমতা এখন মুখ্যমন্ত্রী। ফের মমতার সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য লালুর আইনজীবী সম্প্রতি আদালতে আবেদন জানান। বিচারক তা মঞ্জুরও করেন। ঠিক হয়, ভিডিয়ো-সম্মেলনের মাধ্যমে মমতার সাক্ষ্য নেওয়া হবে। বুধবার সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল। মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী শ্যামা দাসরায় আদালতে জানান, মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য কলকাতার বাইরে আছেন। কোনও ভাবেই তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তার পরেই তিনি বিচারকের কাছে লিখিত আবেদনে সাক্ষীর অভাবের কথা জানান।
আলিপুর আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় পরে জানান, হামলার ঘটনার পাঁচ জন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তাঁরা ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। তাই অপরাধ প্রমাণের সম্ভাবনা খুবই কম।