বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ‘থ্রেট কালচার’-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হাই কোর্টে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ বা হুমকি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। মামলা দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর হাসপাতালগুলিতে হুমকি সংস্কৃতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ, হুমকি দিয়ে হাসপাতালে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়। অনেক সিনিয়র ডাক্তার বা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ এনে সরব হন জুনিয়রেরা। আন্দোলনের চাপে আরজি কর, বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ-সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজে হুমকি সংস্কৃতিতে অভিযুক্তদের সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করার সিদ্ধান্ত নেয় মেডিক্যাল কাউন্সিল। দীর্ঘ দিন এই সংক্রান্ত শুনানি চলে আরজি কর হাসপাতালে। একাধিক বার অভিযুক্তদের তলব করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন কর্তৃপক্ষ। তবে এই সংক্রান্ত মামলায় পরে হাই কোর্ট জানায়, এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হবে কি না, তা তাঁদের সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করবে।
আরজি করের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারেরা যখন শহর জুড়ে প্রতিবাদে নেমেছিলেন, হুমকি সংস্কৃতি বন্ধের দাবি এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিও তুলেছিলেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেও এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। আরজি করের মূল ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত। কিন্তু হুমকি সংস্কৃতির তেমন সুরাহা হয়নি বলে দাবি। এ বার তা নিয়েই হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন এক মহিলা আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ থেকে মামলা দায়েরের অনুমতি পেয়েছেন তিনি।