রাস্তা আটকে মিটিং, মিছিল বন্ধে জনস্বার্থ মামলা

কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়ে রাস্তা আটকে মিটিং, মিছিল, শোভাযাত্রা বন্ধ করতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হবে। মামলা করেছেন জনৈক ঋতুপর্ণা দত্ত। তাঁর আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্ত বুধবার জানান, আবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণের ব্যবহার্য রাস্তা আটকে মিটিং, মিছিল, শোভাযাত্রা করতে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি যেন কাউকে অনুমতি না দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৫ ২১:০২
Share:

কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়ে রাস্তা আটকে মিটিং, মিছিল, শোভাযাত্রা বন্ধ করতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হবে।
মামলা করেছেন জনৈক ঋতুপর্ণা দত্ত। তাঁর আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্ত বুধবার জানান, আবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণের ব্যবহার্য রাস্তা আটকে মিটিং, মিছিল, শোভাযাত্রা করতে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি যেন কাউকে অনুমতি না দেন। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই রাজনৈতিক দল বা কোনও সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তা আটকে মিটিং, মিছিল, শোভাযাত্রা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে যাতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
শ্রীকান্তবাবু জানান, রাস্তা আটকে মিটিং, মিছিল বা শোভাযাত্রা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করে। বিপদে পড়েন হাসপাতালমুখী অসুস্থ ব্যক্তি, নিত্যযাত্রীরা। রাজ্য জুড়েই এ ভাবে মিটিং, মিছিল, শোভাযাত্রা বার করার প্রবণতা বাড়ছে।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তা হলে মিটিং, মিছিল কোথায় হবে? এগুলো মানুষের মৌলিক অধিকার। পুরো রাস্তা আটকে কোথাও মিটিং, মিছিল হয় না। রাস্তার মোড়ের এক দিকে অথবা রাস্তার এক পাশে হয়।’’

Advertisement

কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান বলেন, ‘‘মিটিং, মিছিল করা মানুষের মৌলিক অধিকার। তবে, তার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকলে ভাল। কিন্তু বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দল এক রকম সুবিধা পাবে, আর অন্য দলগুলি পাবে না এটা অগণতান্ত্রিক।’’

সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘হাইকোর্টই বলে দিক কোথায় মিটিং, মিছিল হবে। মানুষের মৌলিক অধিকার মিটিং, মিছিল করা। মামলা দায়ের করে তা কেউ কেড়ে নিতে পারে না। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর দলের জন্য এক নিয়ম, বিরোধীদের জন্য আলাদা, এটাও ঠিক নয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement