পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন প্রকাশের রহস্য ভেদ করা যায়নি। এই অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ‘টিচার্স এবিলিটি টেস্ট’ বা টেট বাতিলের দাবিতে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের আদালতে ওই মামলা করা হয়েছে। আবেদনকারীর অভিযোগ, ওই পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে প্রশ্ন ফাঁস হল, সিবিআই-কে দিয়ে তার তদন্ত করার আর্জিও জানান আবেদনকারী।
হাইকোর্টের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, টেট বাতিলের দাবিতে মামলা করেছেন বাঁকুড়ার এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, ১১ অক্টোবর নির্ধারিত পরীক্ষার আগেই বেশ কয়েক জায়গা থেকে প্রশ্ন ও তার উত্তরপত্র মিলেছে। সব মিলিয়ে পরীক্ষা পর্বের স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর অনেকেই। এর আগে ৩০ অগস্ট প্রাথমিক স্তরের টেট বাতিল হয় প্রশ্নপত্র লোপাটের জেরে। এ বারেও একই ঘটনা ঘটেছে। তাই পরীক্ষা বাতিল হওয়া দরকার বলে মনে করেন আবেদনকারী।
কী ভাবে বারবার টেটের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাচ্ছে, তার তদন্ত রাজ্য পুলিশকে দিয়ে না-করিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-কে দিয়ে করানোর আর্জি জানিয়েছেন আবেদনকারীর আইনজীবীরা। আজ, বুধবার মামলাটির শুনানি হতে পারে।
এ দিনই টেট বাতিলের দাবিতে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি-র যুব মোর্চা। পাশাপাশি টেটের প্রশ্ন ফাঁসের সিবিআই তদন্ত এবং মুখ্যমন্ত্রী আর শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও তোলে তারা। বাম যুব সংগঠনের পক্ষ থেকেও এ দিন টেটের প্রশ্ন ফাঁসের তদন্ত এবং শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে কলেজ স্কোয়ার থেকে মৌলালি পর্যন্ত মিছিল করা হয়।