প্রতীকী ছবি।
পরীক্ষায় পাশের পরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের চাকরির জন্য করোনা আবহে এত দিন আবেদন করতে হচ্ছিল শুধু অনলাইনে। কিন্তু তা করতে গিয়ে অনেকেরই নানা ধরনের অসুবিধা হচ্ছিল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বার প্রার্থীদের অসুবিধা হলে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে অফলাইনেও। ৯ এবং ১০ জানুয়ারি অর্থাৎ আজ, শনিবার এবং কাল, রবিবার সল্টলেকের করুণাময়ীতে পর্ষদের দফতরে আবেদন জমা নেওয়া হবে।
পর্ষদ সূত্রের খবর, অনলাইনের মতোই অফলাইনে আবেদন করতে গেলে চারটি শর্ত পূরণ করতে হবে প্রার্থীদের। প্রথমত, ২০১৪ সালের ‘টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট পাশ করা প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, প্রার্থীকে স্নাতক পরীক্ষায় ৫০% নম্বর পেতে হবে। তৃতীয়ত, বিএড ডিগ্রি থাকা চাই। চতুর্থত, প্রার্থীর বয়স ৪০ বছরের বেশি হলে চলবে না। ‘‘অনেকেই এর কোনও একটি পূরণ করতে না-পারায় অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন। তাঁদের আবেদন বিবেচ্য হবে না,’’ বলেন পর্ষদের এক কর্তা। এমনিতে প্রাথমিক শিক্ষকপদের জন্য অনলাইনে আবেদন করার সময়সীমা ৬ জানুয়ারি শেষ হয়ে গিয়েছে। ‘‘কোনও যোগ্য প্রার্থীই যাতে ইন্টারভিউ থেকে বাদ না-যান, সেটা নিশ্চিত করতেই ৯ এবং ১০ জানুয়ারি অফলাইনে আবেদনপত্র নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে,’’ বলেন পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য।
কোনও কোনও প্রার্থী জানিয়েছেন, টেট পাশ করা বা বিএড পড়ার সময় তাঁরা অবিবাহিত ছিলেন। তার পরে বিয়ের সূত্রে পদবি পাল্টেছে। অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে পরিবর্তিত পদবি লেখা যাবে কি না, সেই বিষয়ে তাঁরা সংশয়ে পড়েছেন। মানিকবাবু জানান, প্রার্থীর অন্যান্য যোগ্যতা যদি ঠিকঠাক থাকে, তা হলে পদবি পাল্টালে কিংবা প্রার্থীর নিজের বা তাঁর বাবার নামের বানান ভুল থাকলে কোনও সমস্যা হবে না। ওই ধরনের অন্য বিষয় নিয়ে জটিলতা থাকলেও সমস্যার কিছু নেই।
১০ জানুয়ারি, রবিবারেই শুরু হচ্ছে ইন্টারভিউ। ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী ইন্টারভিউ চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। ইন্টারভিউ কবে কখন কোথায় হবে, তা প্রার্থীর রেজিস্টার্ড মোবাইলে এসএমএস করে এবং ই-মেলে জানানো হবে,’’ বলেন মানিকবাবু। তিনি জানান, ইন্টারভিউ অফলাইনে হবে এবং করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হবে। প্রার্থীকে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য কবে কোন স্কুলে কত নম্বর টেবিলের সামনে পৌঁছতে হবে, তা ই-মেল এবং এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে।