Upper Primary

Upper primary Recruitment: উচ্চ প্রাথমিক স্তরে নিয়োগে জট, ফের আন্দোলনে প্রার্থীরা

সময়সীমা বেঁধে কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ২০২১ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২২ ০৬:০৩
Share:

ফাইল চিত্র।

সময়সীমা বেঁধে কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ২০২১ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকের সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও আটকে আছে আইনি জটে।

Advertisement

প্রার্থীদের অভিযোগ, হাই কোর্টের নির্দেশের পরে প্রায় এক বছর হতে চলল। কিন্তু আইনি জটিলতায় তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও বিশ বাঁও জলে। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা আবার রাস্তায় নেমে অবস্থান-বিক্ষোভ করতে চলেছেন বলে শিক্ষা সূত্রের খবর।

চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয় ২০১৫ সালের ১৬ অগস্ট। মেধা-তালিকা প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবরে। অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগে ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর সেই মেধা-তালিকা বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ রায় দেয়, ২০২১-এর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকের ১৪,৩৩৯টি শূন্য পদে নিয়োগ শেষ করতে হবে।

Advertisement

প্রার্থীদের অভিযোগ, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের ২১ জুন ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশের পরে তাতে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে ফের মামলা করেন ইন্টারভিউয়ে ডাক না-পাওয়া প্রার্থীরা। কোর্ট জানিয়ে দেয়, যে-সব প্রার্থী ডাক পাননি, তাঁদের অভিযোগ শুনতে হবে এবং ইন্টারভিউ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে তিন মাসের মধ্যে। কিন্তু পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। হাই কোর্ট আবার তিন মাস সময় দেয়। প্রার্থীদের দাবি, সেই তিন মাসের সময়সীমাও ১০ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে গিয়েছে।

উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘ইন্টারভিউ হয়েছে, এমন ২১৫ জন চাকরিপ্রার্থী দ্রুত শুনানির জন্য ফের মামলা করেছেন। সেই মামলা ডিভিশন বেঞ্চ গ্রহণও করেছে। কিন্তু ২৫ এপ্রিল থেকে সেটি তালিকায় থাকলেও শুনানি হয়ে উঠছে না।’’

এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘উচ্চ প্রাথমিকে যাঁরা ইন্টারভিউ দিয়েছেন এবং যাঁদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের সকলেরই তথ্য জমা দিয়েছি। কিন্তু শুনানি তালিকায় থাকলেও তা এজলাসে উঠছে না। আমরাও চাই, দ্রুত শুনানি শুরু হোক।’’ সিদ্ধার্থবাবু জানান, নবম থেকে দ্বাদশ এবং কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষকপদ প্রার্থীদের নিয়োগের বিষয়ে আদালত অথবা রাজ্য সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সেই অনুযায়ী কাজ হবে। এই বিষয়ে তাঁরা আদালত ও সরকারকে সব ধরনের তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement