সূচনা: জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বড়বাজারের পোস্তা এলাকায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
মানুষ তবে বিসর্জন দিতে যাবে কোথায়?
‘দূষণমুক্ত’ বিসর্জন নিয়ে বৃহস্পতিবার এই প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, কেউ যদি আদালতের নির্দেশ না জেনে-বুঝে কোনও ঘাটে চলে যায়, তা হলে সরকার তাদের উপর লাঠি-গুলি চালাবে না। এ জন্য তিনি নিজে গ্রেফতার হতেও প্রস্তুত।
জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশানুযায়ী গঙ্গা-দূষণ রোধে বিসর্জনের কাঠামো জল থেকে সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলা হয়। ফুল বা অন্য সামগ্রী জলে ফেলা যায় না।
এ বার ছটপুজোর ক্ষেত্রে কোনও জলাশয়কেই নষ্ট করা যাবে না বলে জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছে। ফলে বিভিন্ন জলাশয়ে ছটপুজো করার বিষয়টি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর বিসর্জন, ছটপুজোয় গঙ্গার ঘাটে যেতে পারবে না বলে নির্দেশ এসেছে। তা হলে মানুষ যাবে কোথায়?’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘আদালতের নির্দেশ আমি কখনওই অমান্য করি না। আমরা নতুন ১৫টি ঘাট করে দিয়েছি।’’ তবে এরই পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘বহু সাধারণ মানুষ এ সব নির্দেশ সম্পর্কে জানতেই পারেন না। তাই কিছু মানুষ না জেনে-বুঝে অন্যত্র চলে গেলে কি পুলিশ দিয়ে লাঠি পেটা করব, নাকি গুলি করে মারব? ও সব পারব না। তার চেয়ে ভাল আমাকে গ্রেফতার করে রাখুন।’’
বিজেপিকে খোঁচা দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বেনারসের ঘাটের কথাও টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘তোমাদের হাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে, টাকা আছে। তোমরা কি বেনারসের ঘাট পরিষ্কার করে রাখ? আমি তো দুর্গাপ্রতিমার বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে সব ক’টা ঘাট সাফ করে দিয়েছি। কাঠামো তুলে ফেলা হয়েছে। তার পরেও কেন আমাকে এ নির্দেশ দিচ্ছ?’’ বারবার কেন্দ্রীয় নির্দেশ সত্ত্বেও রবীন্দ্র সরোবরের দূষণ রোধ যে পুরোপুরি সম্ভব হয়নি, তাও স্বীকার করেছেন মমতা।