Junior Doctors Strike

পুজোয় বেরিয়ে অনশন মঞ্চেও যান: উপাচার্য

অনুষ্ঠানের পরে শান্তা আবারও বলেন, ‘‘এখন উৎসবের মেজাজ মোটেও নেই। সব কিছু টলে গিয়েছে। পুজোয় যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই করবেন। তবে, পুজোর আনন্দ জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:৫২
Share:

ধর্মতলায় চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চ। —ফাইল চিত্র।

পুজো দেখতে বেরিয়ে আগে এক বার ধর্মতলায় চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চের মণ্ডপও ঘুরে আসার কথা বললেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার সকালে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের সেনেট হলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই শান্তা বলেন, ‘‘আজও বিচার পাননি আর জি করের নির্যাতিতা। আর জি করের ঘটনায় পায়ের তলার মাটি নড়ে গিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা যে কতটা অসুরক্ষিত, এই ঘটনা তা দেখিয়ে দিল। এর প্রতিবাদে পড়ুয়া-চিকিৎসকেরা অনশনে বসে রয়েছেন। সেজেগুজে পুজো মণ্ডপ দেখতে বেরিয়ে আগে এক বার ধর্মতলায় চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চেও ঘুরে আসুন। সমাজের মঙ্গলের জন্য ওঁরা ওখানে বসে রয়েছেন।’’

Advertisement

অনুষ্ঠানের পরে শান্তা আবারও বলেন, ‘‘এখন উৎসবের মেজাজ মোটেও নেই। সব কিছু টলে গিয়েছে। পুজোয় যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই করবেন। তবে, পুজোর আনন্দ জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সাংবাদিকতা করতে গেলে সবার আগে সৎ থাকা জরুরি। অসৎ শাসক, অসৎ সাংবাদিকতা সমাজকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে পারে। অসৎ শাসক থাকলেও সৎ সাংবাদিকতা সমাজকে পাল্টাতে পারে। শাসকের আসন টলিয়ে দিতে পারে।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সৌমেন্দ্রনাথ বেরা বলেন, ‘‘সারা বছর ধরে নানা অনুষ্ঠান হবে। আন্তর্জাতিক সেমিনার হবে। আজ প্রথম দিনেই প্রাক্তনীদের কাছ থেকে খুব ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছে।’’ দুপুর ১টা নাগাদ কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাস থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত পদযাত্রা হয়। সাংবাদিকতা বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফলকের উন্মোচন হয় ও ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement