—ফাইল চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলা করেছেন অর্থনীতিবিদ ও সমাজকর্মী প্রসেনজিৎ বসু। তাঁর আইনজীবী অরিন্দম জানা জানান, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ অগস্ট।
অরিন্দমবাবু আদালতে জানান, কোনও সমীক্ষা না-করে একতরফা ভাবে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক হাজার এবং ২৫০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট যোগ্যতামানও নেই। ভাগচাষি বা চুক্তিভিত্তিক কৃষকদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও অস্পষ্ট। তিনি আরও জানান, সব ফসলের দাম এক নয়। তাই ফসলের ধরন বদলালে ক্ষতির পরিমাণেরও ফারাক হয়ে যায়। তাই সব ক্ষেত্রে এক ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়াও অযৌক্তিক। মামলার উদ্দেশ্য যে কৃষকদের নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ প্রদান, তা-ও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসেনজিৎবাবুর বক্তব্য, ক্ষতিপূরণ আটকানো এই মামলার উদ্দেশ্য নয়। বরং তা যাতে ঠিক ভাবে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছে পৌঁছয়, সেটা নিশ্চিত করাই তাঁর আবেদনের লক্ষ্য। রাজ্য যাতে ক্ষতিপূরণের বিষয়গুলি স্পষ্ট করে আলাদা ভাবে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে, মামলার আবেদনে সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর মতে, ইয়াসের ক্ষেত্রে উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে কৃষিজমির মাটি লবণাক্ত করে দিয়েছে। সেই জল বার করা এবং মাটির লবণাক্ত ভাব হ্রাস করা ব্যয়সাপেক্ষ। গরিব চাষিদের পক্ষে সামান্য এক হাজার বা আড়াই হাজার টাকায় সেটা করা সম্ভব নয়।