এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়েই মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে। নিজস্ব চিত্র।
গ্রামে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ারও বিরোধিতা করা হচ্ছে! এটা দুর্ভাগ্যজনক! পূর্ব বর্ধমানের ৯৩ বছরের বৃদ্ধ গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এ কথা জানিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘উপযুক্ত তথ্য না দিয়ে, শুধু প্রযুক্তিগত সমস্যার কথা বলে গ্রামে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার বিরোধিতা করা হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’’
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসককে হাই কোর্টের নির্দেশ, মামলাকারীর অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রামে পৌঁছে দিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।
এই মামলায় রাজ্যের যুক্তি ছিল, ৩০ হাজারের কম জনসংখ্যায় নতুন প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র তৈরির ক্ষেত্রে পরিস্থিতিগত সমস্যা রয়েছে। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতে ২২ হাজার মানুষের বসবাস। রাজ্যের দাবি, তা ছাড়া এটা একটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নয়। এটি একটি ঔষধালয় (ডিসপেনসারি)। পূর্ব বর্ধমানের জেলা পরিষদের অধীনে এটি দেখভাল করা হয়। জবাবে মামলাকারীর আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২০১১ সালে ২২ হাজার লোক থাকলে এখন তো তা বেড়ে যাওয়ার কথা। একজনও মাত্র চিকিৎসক নেই ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। আসলে সেখানে পরিষেবা দিতে ইচ্ছুক নয় রাজ্য।’’
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে জামালপুরের থানার পাঁচড়া গ্রামের হৈমবতী মুখোপাধ্যায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংক্রান্ত ওই মামলায় রাজ্য সরকারের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গুরুদাসের দায়ের করা ওই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতেই রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।