ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বভারতীর মেলার মাঠের পাঁচিল ভাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল, সেই ঘটনায় এ বার হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই ঘটনায় প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। দিন কয়েক আগে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে জনৈক আইনজীবী আবেদন করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ ১৭ অগস্টের ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।
একই সঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের (এসএসডিএ) কাছ থেকেও সে দিনের ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও হাইকোর্টের এই হস্তক্ষেপ অথবা রিপোর্ট পাঠানোর বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক। অন্য দিকে, এসএসডিএ-র চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘আবেদনকারীর তরফ থেকে মামলার কপি পেলেও হাইকোর্টের তরফ থেকে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে কোনও চিঠি এখনও হাতে পাইনি। চিঠি হাতে পেলে নিশ্চয় যথাযথ উত্তর দেব।’’
গত ১৭ আগস্ট পৌষমেলার মাঠকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরার কাজ চলাকালীন কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পৌষমেলার মাঠ। উত্তেজিত জনতা পে-লোডার এনে পাঁচিলের নির্মাণ সামগ্রী ধ্বংসের পাশাপাশি মেলার মাঠের একমাত্র প্রবেশদ্বারটিকেও গুঁড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের এক বিধায়ক এবং স্থানীয় দুই বিদায়ী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। পাঁচিল ভাঙার পিছনে ‘প্রভাবশালী’র হাত বা ‘আর্থিক মদত’ আছে কিনা, তা দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এ বার রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্টও।