West Bengal Panchayat Election 2023

আরও ১০ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে রাজ্যে, গোলমাল হলেই পাঠানোর নির্দেশ দিল হাই কোর্ট

কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে রাজ্যে সন্ত্রাস আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। হাই কোর্ট এ বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩ ১২:৩২
Share:

বাংলায় ভোটের নজরদারিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যে আরও ১০ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কেন্দ্রের তরফে তেমনটাই জানানো হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টকে। তার প্রেক্ষিতে সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের নির্দেশ, এই ১০ দিনে কোথাও কোনও অশান্তি হলে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে হবে।

Advertisement

রাজ্যের পরিস্থিতি বিবেচনা করে হাই কোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ বৃদ্ধি করার বিষয়টি কেন্দ্রকে বিবেচনা করে দেখতে বলা হয়েছিল। আরও এক মাস বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যায় কি না, কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছিল হাই কোর্ট। সেই মামলাতেই কেন্দ্র জানিয়েছে, আরও ১০ দিন রাজ্যে বাহিনী থাকবে।

পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার পরেও ১০ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। আদালত জানিয়েছিল, ভোটের ফল জানার পরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা যাতে সুনিশ্চিত করা যায়, সেই কারণেই এই নির্দেশ। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের পরেও রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে অশান্তি এবং হিংসার খবর আসতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে ১০ দিন পর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে সন্ত্রাস আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।

Advertisement

ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানায়, ভোটের ফল প্রকাশের পরে প্রথম ১০ দিনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আরও রাখতে হলে কেন্দ্রের মতামত নিতে হবে। কেন্দ্র আরও ১০ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত আদালতকে জানিয়েছে।

সোমবার আইনজীবী টিবরেওয়াল আদালতে জানান, অতিরিক্ত হলফনামায় আরও ৪০০ অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া, দুই মহিলাকে তিনি আদালতে নিয়েও এসেছিলেন যাঁরা পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়ায় শারীরিক ভাবে নিগ্রহের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, সব অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। এফআইআর করা হয়েছে। কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটির জেনারেল (এএসজি) অশোককুমার চক্রবর্তী জানান, তাদের কাছে ২১৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। সবগুলিই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। তারা নোডাল অফিসারকে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা জমা দেয়নি বলে অভিযোগ।

শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এটা গুরুতর অভিযোগ। এ বিষয়ে কিছু করা প্রয়োজন। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমস্ত অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে এখনই কোনও নির্দেশ দিচ্ছে না আদালত। সমস্ত অভিযোগ এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে।

যে মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের নিরাপদে বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। স্থানীয় থানাকে ওই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সুপারের তদারকিতে অভিযোগগুলির তদন্ত করতে বলেছে আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement