প্রতীকী ছবি।
গ্রুপ ডি মামলায় এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হাকে কড়া কথা শোনাল কলকাতা হাই কোর্ট। ৯৮ জন গ্ৰুপ-ডি কর্মীর স্কুলে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। নির্দেশ যাতে মানা হয় তা নিশ্চিত করবেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। পাশাপাশি আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সিবিআইকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হল। তারা এ বিষয়ে যে কোনও প্রশ্ন করতে পারে। সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে গ্রুপ ডি পদে ৯৮ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয় ৪ মে ২০১৯। তখন অভিযোগ ওঠে, ৯০ জনের নাম প্যানেলে নেই। সেই ৯৮ জনেরই বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় আদালত।
গ্রুপ ডি মামলায় এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে বৃহস্পতিবার সিবিআই দফতরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। রাত ১২টার মধ্যে তাঁকে ডেকে জেরা করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শান্তিপ্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। কিন্তু সন্ধ্যায় তিনি যাননি। পরিবর্তে রাত ১১টার পর সিবিআই দফতরে যান শান্তিপ্রসাদ। তার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, রাত ১২টার পরেও শান্তিপ্রসাদ নিজাম প্যালেসে ছিলেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, শান্তিপ্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কী তথ্য উঠে এল তা শুক্রবার সকালে জানাতে হবে। সেই শুনানিতেই সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোনও মামলা রেজিস্টার হয়নি তাই কী ভাবে তদন্ত করা হবে তাতে সমস্যা ছিল। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এত দেরি করে সিবিআইয়ের অফিসে গেলেন কেন শান্তিপ্রসাদ? এই মামলায় সিবিআইকে যুক্ত করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর পিএ, ওএসডি-সহ তখন কমিশনের গঠিত সব সদস্যকে এই মামলায় পার্টি করতে বলল আদালত। তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে সিবিআই।