কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিন্হার নির্দেশ, হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে ওই ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। কাজটি করতে তিন দিন লাগতে পারে বলে আগেই আদালতে জানিয়েছিল সিবিআই। আদালত সেই দাবিও মঞ্জুর করেছে।
এর আগে প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা কুন্তলের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রয়োজনে ডেকে প্রশ্ন করতে পারবে সিবিআই। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের কাছ থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তলব করেছিলেন। সেই ফুটেজ হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা ছিল।
অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জেলের ফুটেজ চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করে সিবিআই। সোমবার আদালত সেই আর্জিতে সাড়া দিয়েছে। সিবিআই আদালতে জানায়, সংশোধনাগারের সমস্ত ফুটেজ সংগ্রহ করতে তাঁদের তিন দিন সময় লাগবে। তিনটি ‘ডিভাইস’ রয়েছে। ‘কপি’ করতে তিন দিন লাগবে।
কুন্তল চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিষেকের নাম নেওয়ার জন্য তাঁর উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে তদন্তকারীদের তরফে। এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠি দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়েও কুন্তল একটি চিঠি দেন হেস্টিংস থানাতে। অভিযোগ ছিল, ওই চিঠি কুন্তল নিজে লেখেননি। অন্য কাউকে দিয়ে চিঠি লিখিয়েছিলেন। সেই চিঠির বিষয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি বা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সেই নির্দেশেই তিনি জেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তলব করেছিলেন। সত্যি কুন্তল অন্য কাউকে দিয়ে চিঠি লিখিয়েছিলেন কি না, তা জানতেই ফুটেজ তলব করা হয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে বিচারপতি সিন্হার বেঞ্চে বদলি হয়। তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে সেই ফুটেজ এখন চাইছে সিবিআই। তাদের সেই ফুটেজ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সিন্হা।