(বাঁ দিক থেকে) ফারুক আবদুল্লা, মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
জম্মু ও কাশ্মীরের আসন্ন বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে লড়বে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)। দলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করেছেন। শ্রীনগরে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি বলেন, ‘‘বিভাজনকামী শক্তিকে রুখতে অভিন্ন কর্মসূচির ভিত্তিতে আমরা ৯০টি আসনেই কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া করে ভোটে লড়ব।’’
রাহুল এবং খড়্গের জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুকের বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক ইউসুফ তারিগামিও। ফারুক বলেন, ‘‘হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। ফারুকের বাড়িতে যাওয়ার আগে বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীনগরে কাশ্মীর উপত্যকার ১০টি জেলার কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল এবং খড়্গে। রাহুল বিধানসভা ভোটে সমমনোভাবাপন্ন দলের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের জোট ‘ইন্ডিয়া’ প্রধান লক্ষ্য, জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া।’’
প্রসঙ্গত, এ বারের বিধানসভা ভোটে ফারুকের নেতৃত্বেই লড়বে এনসি। তাঁর পুত্র তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, কাশ্মীরের ‘পূর্ণ রাজ্য’ মর্যাদা না ফেরা পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন না। যদিও রাহুলদের সঙ্গে বৈঠকে তিনিও হাজির ছিলেন। কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে , ফারুকের দলের কাছে কাশ্মীর উপত্যকার ১২টি বিধানসভা আসন চাওয়া হয়েছে। বিনিময়ে জম্মুর ১২টি আসন ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার মোট আসন ৯০। তার মধ্যে কাশ্মীর উপত্যকায় রয়েছে ৪৭টি। সেখানে ন্যাশনাল কনফারেন্স শক্তিশালী। অন্য দিকে, জম্মুতে রয়েছে ৪৩টি বিধানসভা। সেখানে কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি। জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হবে তিন দফায়— ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর। গণনা ৪ অক্টোবর। প্রাক্ নির্বাচনী জোট, প্রার্থী বাছাই এবং প্রচার কৌশল নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার রাতে শ্রীনগরে পৌঁছন রাহুল ও খড়্গে। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের জম্মুতে যাওয়ার কথা।