প্রতীকী ছবি।
সাধারণ ভাবে ফাইল লোপাটের রোগটা সরকারি দফতরের প্রায় একচেটিয়া। কিন্তু ফাইল-বিভ্রাট এ বার খাস কলকাতা হাই কোর্টে! শুনানির জন্য মামলা উঠেছে এজলাসে। হাই কোর্টের কাছে থাকা সেই মামলার ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার এমনই একটি ঘটনার পরে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। এই গাফিলতির জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে হাই কোর্ট প্রশাসনকে।
এই ফাইল না-মেলার ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির পরিকাঠামো সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায়। সেই মামলার আবেদনকারী তথা আইনজীবী কল্লোল গুহঠাকুরতা জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি ফের শুনানি। সে-দিনেই ফাইল খুঁজে এনে এজলাসে জমা দিতে বলা হয়েছে। আগেও এমন ঘটনার উদাহরণ রয়েছে। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত ২০০২ সালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। কল্লোলবাবু বলেন, “সুভাষবাবু ইদানীং কোর্টে আসতে না-পারায় আমি আপাতত সেই মামলা লড়ছি। গত সপ্তাহে তার শুনানি ছিল। কিন্তু তারও ফাইল পাওয়া যায়নি।”
কল্লোলবাবুর ফরেন্সিক মামলাটি ন’বছরের পুরনো। তা হলে কি পুরনো বলেই ওই সব মামলার ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? রাজেশ বিন্দল কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি থাকাকালে মামলাগুলি শুনানির জন্য উঠেছিল। তার পরে তাঁর বদলির আদেশ চলে আসায় তিনি পরবর্তী শুনানির তারিখ দেন। সেই সময় কিন্তু এজলাসে ফাইল উপস্থিত ছিল। আদালত সূত্রের খবর, ডিভিশন বেঞ্চে দু’জন বিচারপতির জন্য মামলার দু’টি ফাইল তৈরি হয়। এ দিন অন্য একটি মামলায় দেখা যায়, দু’টির মধ্যে একটি ফাইল নেই। সেই মামলায় দ্বিতীয় ফাইল তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।