ফাইল চিত্র।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অমান্য করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সূত্রে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে তাঁকে ‘প্রভিশনাল’ পেনশন দেওয়া হচ্ছিল। বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজির সেই প্রাক্তন সুপার শ্যামাপদ গড়াইকে পুরো পেনশন দিতে হবে বলে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
শ্যামাপদবাবুর আইনজীবী জানান, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, তাঁর মক্কেলের পুরো পেনশন ৯০ দিনের মধ্যে চালু করার সঙ্গে সঙ্গে বকেয়া পেনশনের টাকা আট শতাংশ সুদ-সহ মিটিয়ে দিতে হবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে তাঁকে প্রভিশনাল পেনশন দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শ্যামাপদবাবু প্রথমে ‘স্যাট’ বা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে মামলা করেন। স্যাট গত বছর প্রভিশনাল পেনশন বজায় রাখার পক্ষে রায় দেওয়ায় চলতি বছরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শ্যামাপদবাবু। তাঁর আইনজীবী জানান, ২০১১ সালের ২৬ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজি পরিদর্শনে যান এবং পরের দিন ওই চিকিৎসককে দেখা করতে বলেন। পরের দিন সাতটি জরুরি অস্ত্রোপচার সেরে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন বলে জানান শ্যামাপদবাবু। সেই সঙ্গে ওই চিকিৎসক জানান, মুখ্যমন্ত্রী নির্দিষ্ট সময় দিলে তিনি দেখা করবেন। তার পরেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ওঠে এবং তদন্ত শুরু হয়। তিনি গত বছর মে মাসে অবসর নেন। কিন্তু অবসরের পরেও তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত চলতে থাকে।
আইনজীবী শামিম জানান, ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জানিয়েছে, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যে-অভিযোগ ছিল, তা গুরুতর বা মারাত্মক কিছু নয়। এবং এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অবসরের পরে কোনও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া যায় না।