ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোের কাজ চলছে। —ফাইল চিত্র
বৌবাজারে বিপর্যয়ের পর থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের নির্মাণকাজ বন্ধ আছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। সেই কাজ আবার চালু করার ব্যাপারে রাজ্যের ‘ডিজাসটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি’ বা বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষকে কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড বা কেএমআরসিএলের বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করার জন্য শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আলোচনার পরে বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষকে আগামী ৭ জানুয়ারি আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
বৌবাজারে মেট্রোর সুড়ঙ্গে ধস নামার পরে জনস্বার্থে মামলা দায়ের হয়েছে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ আগেই মেট্রো-কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া প্রকল্পের কাজ পুনরায় চালু করা যাবে না। কাজ চালু করতে চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছেন মেট্রো-কর্তৃপক্ষ।
প্রধান বিচারপতি এ দিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তের কাছে জানতে চান, রাজ্য সরকারের কোনও বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ রয়েছেন কি না। এজি জানান, রয়েছে। তা শুনে প্রধান বিচারপতি জানান, ওই পাতাল রেলের কাজ পুনরায় চালু করা যাবে কি না, সেটা আদালত ঠিক করে দিতে পারে না। কারণ, আদালত এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নয়। বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের অধীনে নিশ্চয়ই বিশেষজ্ঞেরা রয়েছেন। কী ভাবে মেট্রো-কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করতে চাইছেন, কাজ শুরুর আগে কতখানি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে, সেই সব বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সবিস্তার আলোচনা দরকার।
সুড়ঙ্গের বাঁকে আটকে থাকা দু’নম্বর টানেল বোরিং মেশিন পাঁচ মিটার সরাতে চেয়ে মেট্রো-কর্তৃপক্ষ এর আগে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিলেন। তা শুনে ডিভিশন বেঞ্চ কেএমআরসিএল-কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়, ধস নামার জেরে যে-পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সুড়ঙ্গে থাকা ওই যন্ত্র এগোনো যাবে কি না, মেট্রোর বিশেষজ্ঞ কমিটি রিপোর্ট দাখিল করে সেটা আদালতে জানাক। রিপোর্ট পেয়ে ১৮ নভেম্বর ডিভিশন বেঞ্চ ওই যন্ত্র সরানোর অনুমতি দেয়। তার পরে প্রকল্পের কাজ ফের চালু করতে চেয়ে আবেদন করে মেট্রো।