স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি-র পাশাপাশি গ্রুপ সি-র কর্মী নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি-র পাশাপাশি গ্রুপ সি-র কর্মী নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগের বিস্তারিত রিপোর্ট বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে জমা করলেন মামলাকারী। ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ‘ভুয়ো’ কর্মীদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিল আদালত।
মামলাকারী কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ করেছিলেন, এসএসসি-র গ্রুপ সি পদে প্রায় ৩৫০ জন কর্মীকে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করা হয়েছিল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলাকারীর থেকে ‘ভুয়ো’ নিয়োগের সমস্ত নথি অর্থাৎ যাঁদের অস্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের নাম-ঠিকানা-নিয়োগপত্র চেয়ে পাঠিয়েছিল আদালত। ওই রিপোর্টই বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে জমা পড়েছে।
এসএসসি-কে ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। হাই কোর্টের নির্দেশ, রিপোর্ট খতিয়ে দেখে অবিলম্বে অভিযুক্ত তৃতীয় শ্রেণির কর্মীদের বেতন বন্ধ করতে হবে এসএসসি-কে।
গ্রুপ ডি পদেও অস্বচ্ছ নিয়োগের একই অভিযোগ উঠেছে। মামলাকারীর রিপোর্টের ভিত্তিতে ৫৪২ জন অভিযুক্ত কর্মীর বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। পাশাপাশি ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। গ্রুপ ডি-র পর এ বার গ্রুপ সি-র মামলাতেও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল হাই কোর্টের একক বেঞ্চ।