বাধা কাটল প্রধান শিক্ষক নিয়োগে

কয়েক জন প্রার্থীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের উপরে ৩০ জুন পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেছিল হাইকোর্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯ ০১:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্কুলের বিভিন্ন স্তরে শিক্ষক নিয়োগে মামলা যে বড় বাধা, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বারবার তা বলে আসছেন। বলেছেন সোমবারেও। তবে কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবার স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ায় রাজ্য সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগে আপাতত আর কোনও বাধা রইল না।

Advertisement

কয়েক জন প্রার্থীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের উপরে ৩০ জুন পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেছিল হাইকোর্ট। সেই স্থগিতাদেশ তোলার আবেদন জানিয়ে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের আদালতে মামলা করেন কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাওয়া এক প্রার্থী এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। সেই আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি ভট্টাচার্য এ দিন স্থগিতাদেশ তুলে দেন। তবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যে-সাঁইত্রিশ জন প্রার্থীর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল, তাঁদের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে আসন ফাঁকা রাখতে হবে। মামলার ফলের উপরে ওই প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।

ওই ৩৭ প্রার্থীর আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, ২০১৬ সালের আগে প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষায় বসতে হলে স্নাতকোত্তর স্তরে (এমএ, এমএসসি, এমকম) প্রার্থীর কমপক্ষে ৪০ শতাংশ নম্বর থাকতে হত। ২০১৬ সালে এসএসসি-কর্তৃপক্ষ তা বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করেন। আবার পরের বছরেই নিয়োগ আইনে সংশোধনী এনে সেটা করা হয় ৫০ শতাংশ।

Advertisement

ওই আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলরা স্নাতকোত্তর স্তরে ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু ৫০ শতাংশ নম্বর না-থাকায় তাঁরা ২০১৯ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারছিলেন না। সেই জন্য গত বছর বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতে মামলা করে তাঁরা জানান, তাঁদের পরীক্ষায় অনুমতি দিতে এসএসসি-কে নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। তার পরে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওই প্রার্থীরা নতুন একটি মামলা করেন বিচারপতি শেখর ববি শরাফের এজলাসে। মামলার আবেদনে ওই প্রার্থীরা জানান, তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না, জানতে পারছেন না। উত্তীর্ণদের তালিকায় তাঁদের নাম নেই। সেই জন্য তাঁরা কাউন্সেলিংয়েও ডাক পাচ্ছেন না। একই সঙ্গে ওই প্রার্থীরা জানান, এসএসসি-কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালে নিয়োগ আইনে যে-সংশোধনী এনেছেন, তা অবৈধ। সেই মামলার শুনানিতে ২২ জানুয়ারি বিচারপতি শরাফ নিয়োগের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেন। তার পরে দফায় দফায় সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়তে বাড়তে ৩০ জুন হয়।

স্থগিতাদেশ তুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বিচারপতি ভট্টাচার্যের আদালতে অন্য এক প্রার্থী বলেন, স্থগিতাদেশ জারি থাকায় যে-সব প্রার্থী কাউন্সেলিংয়ে ডাক পেয়েছেন, তাঁদের নিয়োগ হচ্ছে না। বিভিন্ন স্কুলে প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগ করা যাচ্ছে না। একই কথা জানান এসএসসি-কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি ভট্টাচার্য এ দিন জানিয়েছেন, নিয়োগ আইনের সংশোধনী বাতিলের আর্জি সংক্রান্ত মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে ১০ জুলাই।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement