মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কমা নিয়ে অসন্তোষের সুর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর গলায়। ফাইল চিত্র ।
কমে যাচ্ছে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা! তা হলে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা কোথায়? সোমবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে অসন্তোষের সুর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর গলায়। পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীকে আইনে বদল আনার পরামর্শও দিলেন তিনি।
বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ‘‘এ বার মাধ্যমিকে ৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গেল। আর রাজ্য ১০ হাজার শিক্ষক প্রয়োজন বলে ঘোষণা করেছে। এই অতিরিক্ত শিক্ষকদের কী প্রয়োজন? অর্থের অপচয় ছাড়া কোনও লাভ হচ্ছে কি?’’
রাজ্যের শিক্ষা দফতরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রীকে আইনে বদল আনতে বলুন। খুব কম পড়ুয়া রয়েছে এমন স্কুলের পড়ুয়াদের কাছের কোনও স্কুলে পাঠিয়ে দিন। আর যেখানে বেশি পড়ুয়া রয়েছে, শিক্ষকদের সেখানে বদলি করুন।’’
২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৮ জন। যেখানে গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫। কেন এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় চার লক্ষ কমেছে, উঠছে সেই প্রশ্ন। যদিও পর্ষদের দাবি, অতিমারির প্রভাবেই এমনটা হয়েছে।
এই পরিস্থিতির জন্য করোনা অতিমারিকেই দায়ী করে বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অতিমারির প্রভাবেই এ রকম হয়েছে। অনেকে স্বেচ্ছায় পরীক্ষা দিচ্ছে না, প্রস্তুতি নেই বলে। অনেক টেস্টে পাশ করেনি। যারা কোভিডের সময় অষ্টম-নবম শ্রেণিতে পড়ত, তারাই এ বছর পরীক্ষা দিচ্ছে। কোভিডের কারণে স্কুলে ক্লাস হয়নি। তারও প্রভাবে এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হতে পারে বলে মনে করছেন রামানুজ। যদিও এর পরেও প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি অতিমারির সময় অনলাইনে ঠিকমতো পড়াশোনা হয়নি! আর সেই প্রসঙ্গেই এই বার প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল বিচারপতি বসুকে।