প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতির। ফাইল ছবি।
দুর্নীতির ছটা থেকে বেরোতে পর্ষদের আরও খানিকটা সময় লাগবে, বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনটাই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, আরও অন্তত ২-৩ বছর পর হয়তো পর্ষদের পক্ষে এই দুর্নীতি এবং মানিক ভট্টাচার্যের রেশ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
টেট দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আপাতত রয়েছেন জেল হেফাজতে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই তাঁকে পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তার পর ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকারী দাবি করেন, টেটে নিয়োগের একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষায় কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে কেবলমাত্র হাজিরা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের পরীক্ষা নেওয়াই হয়নি। তার পরেও তাঁরা ওই পরীক্ষায় পুরো নম্বর পেয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই অভিযোগ শুনে মন্তব্য করেন, ‘‘কেউ আর্জেন্টিনার জার্সি পরে আছে বলে নম্বর পেয়ে যাবে, ব্রাজিলের জার্সি পরলে নম্বর পাবে না, এটা হতে পারে না।’’ এই মন্তব্য করে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারপতি। তাঁর এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
এ দিকে, পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। মানিক রয়েছেন ইডি হেফাজতে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য সিবিআই ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও করেছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত আরও এক প্রাক্তন শিক্ষা কর্তা সুবীরেশ ভট্টাচার্য সিবিআইয়ের তদন্তে অসহযোগিতা করছেন বলে দাবি করা হয়েছিল। সেই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সুবীরেশের জেরা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপরেই ছেড়েছেন।