বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
আদালত বলেছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই নির্দেশ বৃহস্পতিবারই পালন করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিজেদের ওয়েবসাইটে এসএসসি সেই তালিকা প্রকাশ করেছে। ১৮৩ জন শিক্ষক যাঁরা ভুয়ো সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের নাম, রোল নম্বর, অ্যাপ্লিকেশন নম্বর থেকে শুরু করে কোন বিষয়ে শিক্ষকতার জন্য আবেদন করেছিলেন, তা-ও জানানো হয়েছে ওই তালিকায়। বাংলা, ইংরেজি, অঙ্কের পাশাপাশি ইতিহাস, ভূগোল, জীবন বিজ্ঞান এমনকি পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও রয়েছেন ওই তালিকায়।
বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নবম-দশমে ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তিনি বলেছিলেন, শুক্রবারের মধ্যে অবৈধ উপায়ে সুপারিশপত্র নিয়েছেন এমন ১৮৩ জনের তালিকা তাঁদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-কে। ওই ১৮৩ জনের মধ্যে কত জন, কোন কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন তা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছ থেকে জানার জন্য এসএসসি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তালিকা অবশ্য এখনও জানানো হয়নি পর্ষদের তরফে। তবে কোন কোন বিষয়ে কত জন ভুয়ো শিক্ষক পড়াচ্ছিলেন তা স্পষ্ট ওই তালিকায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ওই তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। তালিকায় দেখা যাচ্ছে ভুয়ো সুপারিশপত্রে সবচেয়ে বেশি চাকরি পেয়েছেন ইংরেজি শিক্ষকেরা। ১৮৩ জন অযোগ্য শিক্ষকদের মধ্যে ৫৭ জনই ইংরেজির শিক্ষক বা শিক্ষিকা। এ ছাড়া ৩০ জন ভূগোলের, ২২ জন জীবন বিজ্ঞানের, ২১ জন বাংলায়, অঙ্ক এবং পদার্থ বিজ্ঞানে ১৮ জন করে এবং ইতিহাসে ১৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ভুয়ো সুপারিশ পত্রে নিয়োগ পেয়েছিলেন।