Dev-Hiran

‘ভোটে কারচুপি’! হিরণের মামলায় দেবকে নোটিস দিল হাই কোর্ট, ইভিএম-সহ যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশ

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ছাড়াও কোচবিহার, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার এবং আরামবাগ— রাজ্যের পাঁচ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ১২:২১
Share:

(বাঁ দিকে) হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং দেব। —ফাইল চিত্র

ঘাটালে লোকসভা ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলায় তৃণমূলের অভিনেতা-সাংসদ দেবকে নোটিস দিল উচ্চ আদালত। শুক্রবার বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের নির্দেশ, ঘাটাল কেন্দ্রে ভোটের সমস্ত কাগজপত্র, বৈদ্যুতিন নথি ও ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ছাড়াও কোচবিহার, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার এবং আরামবাগ— রাজ্যের পাঁচ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে। ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ, ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস, আরামবাগের বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগর, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র এবং কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। পদ্মশিবিরের দাবি, পাঁচ কেন্দ্রেই ভোটে কারচুপি হয়েছে। ওই পাঁচ মামলা পাঁচ জন পৃথক বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। ঘাটালের মামলাটি পাঠানো হয়েছে বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের বেঞ্চে।

ভোটের দিন থেকেই ছাপ্পা-কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন হিরণ। বলেছিলেন, ‘‘নির্বাচনের দিন কেশপুরে লুঙ্গি ডান্স করে প্রশাসনের ষড়যন্ত্রে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। এর জন্য কেশপুরের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি।’’ কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী। হিরণ দাবি করেছিলেন, ‘‘কেশপুরের ৭১ ও ৭৪ বুথের ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কী ভাবে তৃণমূল কর্মীরা ভোটারদের প্রভাবিত করেছে। প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু পর্যবেক্ষক বা রিটার্নিং অফিসার কেউ শোনেননি। সমস্ত ইভিএম মেশিন সিল করে চলে যান। কেশপুরে ২০০ বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেয়নি তৃণমূল। খুল্লাম খুল্লা ছাপ্পা মেরেছে।’’ হিরণের দাবিকে অমূলক বলে মন্তব্য করে উড়িয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। তাদের বক্তব্য ছিল, কমিশন ভোট করিয়েছে। ভোটের পর কমিশনই জানিয়েছে, তারা ঘাটালের ভোটে সন্তুষ্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement