প্রতীকী ছবি
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের বিরুদ্ধে শুক্রবার আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আদালতের নির্দেশ জেলাশাসক পালন করেননি বলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে। তাই রুল জারি করেন বিচারপতি। এর অর্থ, জেলাশাসককে আদালতে গিয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে যে অবমাননার জন্য কেন তাঁকে আদালত শাস্তি দেবে না।
পূর্ব বর্ধমানে দামোদর নদের চর ও সংলগ্ন এলাকায় বালি খাদান লিজ দেওয়ার জন্য ২০২০ সালে টেন্ডার-বিজ্ঞপ্তি জারি করেন পূর্ব বর্ধমানের তৎকালীন জেলাশাসক। সেখানে দু’টি খাদানের লিজ পান জেলার এক ব্যবসায়ী। বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত ছিল, লিজ-চুক্তি হওয়ার শুরুতে এক তৃতীয়াংশ টাকা অগ্রিম দিতে হবে। সেই মতো দু’টি খাদানের লিজ বাবদ এক কোটি ১৪ লক্ষ টাকা জেলাশাসকের দফতরে জমা রাখেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, খাদান থেকে বালি তোলার জন্য পরবর্তী সময়ে পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র নিতে গিয়ে তিনি দেখেন, ওই এলাকায় বালি তোলায় ‘গ্রিন ট্রাইবুনাল’-এর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওই ব্যবসায়ী তৎকালীন জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলে তিনি জানিয়ে দেন, পরিবেশ দফতর থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। কিন্তু একাধিক বার আবেদন করেও, পরিবেশ আদালতের নির্দেশের কারণে তিনি পরিবেশগত ছাড়পত্র পাননি। এর পরে, টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। টাকা না পেয়ে ওই ব্যবসায়ী হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
গত ফেব্রুয়ারিতে বিষয়টি বিচারপতি মান্থার এজলাসে উঠলে, বিচারপতি ছ’ সপ্তাহের মধ্যে ওই ব্যবসায়ীকে অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি। এর পরে, ওই ব্যবসায়ী ফের আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন। এ দিন মামলাটি উঠলে নির্দেশ না মানার জন্য রুল জারি করেন বিচারপতি। পূর্ব বর্ধমানের বর্তমান জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলাকে এ দিন বহু বার ফোন করা হলেও ধরেননি তিনি। জবাব মেলেনি মেসেজের।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।