(বাঁ দিকে) বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননার মামলায় কি আগ্রহ হারিয়েছেন মামলাকারীরা? তাঁদের আইনজীবীদের অনুপস্থিতি দেখে এমনটাই জানতে চাইলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। আইনজীবীরা অনেকেই শুক্রবার নির্ধারিত সময়ে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না। তাতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি।
পঞ্চায়েতে ভোটের সময়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহের বিরুদ্ধে। ওই সময় তাঁর বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিল আদালত। মামলা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী-সহ বেশ কয়েক জন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রাজীব তাঁর বক্তব্য হলফনামা আকারে জানিয়েছিলেন। আদালতে তিনি সশরীরে হাজিরাও দিয়েছিলেন।
এর পর গত ৮ জানুয়ারি রাজীবের হলফনামার পাল্টা হলফনামা শুভেন্দু-সহ তিন মামলাকারীর কাছে চায় আদালত। চার সপ্তাহ তাঁদের সময় দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানি চলাকালীন মামলাকারীদের আইনজীবীদের খোঁজ করেন বিচারপতি। তাঁদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন না। বিরক্তি প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘হঠাৎ করে এই মামলাটি শুনানির জন্য আসেনি। এক মাস আগে জানানো হয়েছিল। এই মামলা আর চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ মামলাকারীদের আছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।’’
শুভেন্দুর আইনজীবী কিছু ক্ষণ পরে এজলাসে পৌঁছন। তিনি বিচারপতির কাছে আরও দু’দিন সময় চেয়েছেন। বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘আপনারা যা খুশি করুন। এই মামলার কোনও আইনজীবীকে আমি সময়ে দেখতে পাইনি। সাধারণত, সকাল ১০টায় আইনজীবীরা এজলাসে উপস্থিত হন। আমার অবসরের পরে এই মামলা আসবে। অসুবিধা কোথায়?’’
এজলাসে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের আইনজীবী সোনাল সিংহ। তিনি জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হলফনামার প্রতিলিপি সব পক্ষকে দেওয়া হয়েছিল। এর পর হাই কোর্টের নির্দেশ, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামার প্রতিলিপি আবার সব পক্ষকে দেবে কমিশন। মামলাকারীদের তার উত্তর দেওয়ার জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হচ্ছে। তিন মাস পরে এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে। পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননার মামলায় মামলাকারীদের তালিকায় শুভেন্দু, অধীর ছাড়াও রয়েছেন দীপঙ্কর রিত, আবু হাসান খান চৌধুরী প্রমুখ।