(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ডিরেক্টরদের সম্পত্তির বিবরণ নিয়ে সন্দিহান কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি স্পষ্ট করার জন্য সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইয়ের আধিকারিকদের তিনি আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই সময়ের মধ্যে আদালতে পৌঁছে যেতে হবে তদন্তের সঙ্গে যুক্ত থাকা সব আধিকারিককে।
বিচারপতি সিংহের নির্দেশে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও এবং অন্য ডিরেক্টরদের সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য আদালতে জমা দিয়েছিল ইডি। সেই সঙ্গে নিয়োগ মামলায় জড়িত এক অভিনেতার নাম এবং সম্পত্তির বিবরণও আদালতে জমা পড়েছিল। অভিষেকের সংস্থার পাশাপাশি, এক টলিউড অভিনেতার সম্পত্তি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি সিংহ। তাঁর মন্তব্য, সম্পত্তির যে বিবরণ জমা পড়েছে, তা নিয়ে কিছু সন্দেহ রয়েছে। কিছু বিষয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন। দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদেরই আদালতে হাজির থাকতে বলেছেন তিনি।
নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সূত্রে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম উঠে আসে। ওই সংস্থায় তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। অভিযোগ, সে সময় সংস্থার কম্পিউটারে তারা বেশ কিছু ফাইল ডাউনলোড করে দিয়ে এসেছিল। সংস্থার কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান।
পরে ইডি ফাইল ডাউনলোড করার কথা স্বীকার করে নেয়। তারা লালবাজার এবং লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসে ইমেল মারফত ব্যাখ্যা দিয়ে জানায়, তাঁদের এক তদন্তকারী অফিসার ওই সংস্থার কম্পিউটারে নিজের কন্যার কলেজের হস্টেল সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। তখনই কোনও ভাবে ফাইলগুলি ডাউনলোড হয়ে গিয়ে থাকবে। এর পর লালবাজার থেকে ইডির প্রতিনিধিকে তলব করা হলেও কেউ যাননি। লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় ইডি অফিসারের ১৬টি ফাইল ডাউনলোডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে মৌখিক ভাবে জানান বিচারপতি সিংহ।
বিচারপতিকে দেওয়া ইডির রিপোর্টে নিয়োগ মামলায় জড়িত এক টলি অভিনেতার নাম ছিল। মুখবন্ধ খামে সেই নাম আদালতে জমা দেওয়া হয়। যা দেখে বিচারপতি কটাক্ষ করেন, “এত দিনে মাত্র এক জনের নাম পেলেন?” তবে সেই অভিনেতার নাম এজলাসের মধ্যে বলা হয়নি। তাঁর সম্পত্তি নিয়েও সোমবার আদালতে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি।