Calcutta High Court

অনুমানের উপর ভিত্তি করে মামলা হয় না, বলে দিল অভিষেক মামলা নিয়ে ইডির তদন্তে অসন্তুষ্ট আদালত

বিচারপতির আরও বক্তব্য, সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। কিন্তু তারা নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকে মাত্র ২.৯ কোটি টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ০৭:২২
Share:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।— ফাইল চিত্র

ইডির তদন্তের গতি দেখে সন্তুষ্ট নয় আদালত। নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচের মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, অনুমানের উপর ভিত্তি করে তদন্ত করা যায় না।

Advertisement

বিচারপতির আরও বক্তব্য, সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। কিন্তু তারা নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকে মাত্র ২.৯ অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘সব কিছুই কল্পনার উপর দাঁড়িয়ে আছে।’’ তাঁকে চাপ দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের নাম বলানোর চেষ্টা করছে ইডি ও সিবিআই, এমন অভিযোগ করে জেল থেকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। সেই চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেকের বিরুদ্ধে করা ইডির মামলায় (ইসিআইআর) রক্ষাকবচ চেয়ে এবং ওই মামলা খারিজের আবেদন জানিয়ে অভিষেক পাল্টা যে মামলা করেছিলেন, তার শুনানি বৃহস্পতিবার অসম্পূর্ণ ছিল।

শুক্রবার সেই মামলায় ইডির আইনজীবী এম ভি রাজুর দাবি, ‘‘সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র (ইতিমধ্যেই গ্রেফতার)-র ফোন থেকে একাধিক প্রভাবশালী ব্যাক্তির কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কুন্তল, সুজয়ের কাছ থেকে পাওয়া একাধিক নথি থেকে প্রভাবশালীদের যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে। ইডি বলছে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ রয়েছে। কিন্তু যোগ তো থাকতেই পারে! তদন্ত হোক। দেখা যাক। ইডিকে তদন্ত করতে দিতে বাধা কোথায়?’’

Advertisement

ইডির আইনজীবী আরও জানান, মানিকের সঙ্গে সুজয়ের ফোনালাপ-এর যে রেকর্ড ইডি পেয়েছে তার ভিত্তিতে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি। সুজয় অভিষেকের আর্থিক দিক দেখভাল করতেন।

ইডি চিঠি পাঠিয়ে অভিষেককে জানিয়েছে, অন্য কোনও বিষয়ে নয়, তারা শুধুমাত্র নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।

মামলাকারী সৌমেন নন্দীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, অভিষেক শুধুমাত্র ইডির ইসিআইআর খারিজের জন্য এই মামলা করেননি, তাঁকে যাতে কোনও প্রকার তদন্তে নিযুক্ত করা না হয়, তার জন্যেই তিনি এই মামলা করেছেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার অভিষেকের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত নন। তা সত্ত্বেও তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তাই এখন মামলাটি থেকে তাঁকে নিষ্কৃতি দেওয়া হোক। মামলার চূড়ান্ত রায় আগামী ১৭ অগস্ট হবে বলেআদালত জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement